প্রধান উপদেষ্টা হলে যা করতেন অধ্যাপক মামুন | বিবিধ নিউজ

প্রধান উপদেষ্টা হলে যা করতেন অধ্যাপক মামুন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হলে কি করতে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।

#প্রধান উপদেষ্টা #অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হলে কি করতে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।

সোমবার (২ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে অধ্যাপক মামুন লিখেছেন আমি যদি প্রধান উপদেষ্টা হতাম শুরুতেই যেই কাজগুলো করতাম।

অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনের পোস্টটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো—

১. ছাত্রদের বলতাম আমরা তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তোমরা তোমাদের কাজ করেছ এখন আমাদেরকে আমাদের কাজ করতে দাও আর তোমরা তোমাদের আসল কাজে ফিরে যাও।

২. উপদেষ্টা পরিষদ এমনভাবে তৈরী করতাম যেন সেখানে অন্তত কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মানুষ থাকে। এই উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান সমস্যা হলো এই পরিষদে একজনও বিজ্ঞানের কেউ নাই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্থনীতির একজনকে।

৩. আমি ঘোষণা দিতাম যে গণভবনের একটি অংশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর বিশ্বমানের একটা রিসার্চ ইনস্টিটিউট হবে। একই সাথে বিশ্বের নানা জায়গায় যত মেধাবী স্কলার, গবেষক, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আছে তাদেরকে ফিরে আসার আহবান জানতাম। এদের সবাইকে যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত চাকুরী ও উচ্চ মানের বেতনের নিশ্চয়তা বিধানে একটি কমিশন করতাম।

৪. আমি ঘোষণা দিতাম আগামী বাজেটে শিক্ষায় জিডিপির অন্তত ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এতে মানুষের মধ্যে একটা আস্থা তৈরী হতো। একই সাথে ঘোষণা দিতাম স্বাস্থ্যেও শিক্ষার মত অন্তত জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই দুই খাতে বরাদ্দ আসলে বিনিয়োগ। আমরা যদি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়িয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়াতে পারতাম তাহলে দেশ থেকে যেই বিপুল ছাত্রছাত্রী বিদেশে নিজের টাকায় পড়তে যায় সেটা কমে যেত ফলে বৈদেশ মুদ্রার সাশ্রয় হয় হতো। একই কথা বলা যায় স্বাস্থ্য খাতে। চিকিৎসার জন্য দেশ থাকে যেই পরিমান দলের বিদেশে যায় যায় তা অকল্পনীয়।

এই চারটি কাজ ঠিকভাবে করতে পারলে মানুষ আস্থা পেত। এই কাজগুলো কেন করা হলো না আমি ভেবে পাই না।

#প্রধান উপদেষ্টা #অন্তর্বর্তীকালীন সরকার