প্রতীকি ছবি
আধুনিক বিশ্বে যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যতটা শক্তিশালী যুদ্ধে জয়ের পাল্লাও তাদের দিকেই হেলে থাকে।
ইসরায়েল গাজা ধ্বংস করলেও তাদের নিজ দেশকে তুলনামূলক সুরক্ষিত রাখতে পেরেছেন কারণ শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রান ডোম’ ছিলো।
হালে ভারত রক্ষা পেয়েছে তাদের এয়ার ডিফেন্স সি-৪০০ এর কল্যাণে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমবার তাদের দেশকে রক্ষায় ও দেশবাসীর নিরাপত্তায় পুরো আমেরিকায় ৫০ রাজ্যের আকাশ ঢেকে সুরক্ষার জন্য ‘গোল্ডেন ডোম’ এর ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের দাবি, অনেক বেশি শক্তিশালী হবে আমেরিকার অত্যধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষায় মহাকাশভিত্তিক ‘গোল্ডেন ডোম’।
এর জন্য প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার খরচ করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। তবে প্রাথমিকভাবে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে আড়াই হাজার কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটির বেশি) বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আসুন জেনে রাখি আধুনিক বিশ্বের অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র বিশেষ করে আকাশ প্রতিরক্ষা বা এয়ার ডিফেন্সগুলো বিষয়ে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দেশের আকাশকে দুর্ভেদ্য বর্মে ঢেকে ফেলার ঘোষণা করেছেন। এই লক্ষ্যে তিনি নতুন ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স তৈরিতে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন সুরক্ষাব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গোল্ডেন ডোম’। যদিও ২০২৯ সালের আগে এটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে আমেরিকার ‘গোল্ডেন ডোম’-এর সঙ্গে ইজরায়েলের ‘লৌহ কবচ’ (আয়রন ডোম) ও ভারতের এয়ার ডিফেন্সের তুলনামূলক আলোচনা শুরু হয়েছে।
গোল্ডেন ডোম, আয়রন ডোম এবং ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রধান উদ্দেশ্য একই – শত্রুর ছোড়া ব্যালিস্টিক বা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান থেকে সাধারণ মানুষ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রক্ষা করা।
তবে আমেরিকা যে ‘গোল্ডেন ডোম’ তৈরি করতে যাচ্ছে, তার কার্যপদ্ধতি হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হবে সম্পূর্ণ মহাকাশভিত্তিক। এর মাধ্যমে ইনফ্রারেড লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে ওয়াশিংটনের।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে শত্রুর ছোড়া ব্যালিস্টিক বা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করবে আমেরিকার ‘গোল্ডেন ডোম’।
এই কাজে স্থলভিত্তিক রেডারের সাহায্যও নেওয়া হবে। এরপর লেজার ব্যবহার করে হাইপারসনিক, ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ – এই তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করবে গোল্ডেন ডোম।
তবে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের ধারণা, মার্কিন সামরিক বাহিনী একাধিক স্তরে এই অস্ত্র ব্যবহার করবে। যার দ্বিতীয় স্তরে থাকবে স্থলভিত্তিক মিডকোর্স প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে (ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল বা আইসিবিএম) চিহ্নিত করে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত কার্যকর হবে।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন গত কয়েক বছরে বহুবার যুক্তরাষ্ট্রের উপর আইসিবিএম হামলার হুমকি দিয়েছেন। তাই এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করতে পারে আমেরিকা।
বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনী এজিস বিএমডি বা ব্যালেস্টিক মিসাইল ডিফেন্স নামের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে। এতে এসএম-২ নামের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। মূলত রণতরীগুলোকে রুশ আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এটি মোতায়েন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়কালে এজিস বিএমডির মাধ্যমে যুদ্ধজাহাজগুলোকে দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করে আমেরিকা।
এছাড়াও মার্কিন সামরিক বাহিনীর হাতে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। একটি হল, টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স বা থাড। হিট-টু-কিল প্রযুক্তিতে তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে সক্ষম।
বর্তমানে এর কিছু ইউনিট ইজরায়েলে মোতায়েন রেখেছে ওয়াশিংটন। গত বছর ডিসেম্বরে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে শূন্যে ধ্বংস করে থাড খবরের শিরোনামে আসে।
আমেরিকার প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্সড কেপেবিলিটি-৩ (পিএসি-৩) নামের এয়ার ডিফেন্সেও রয়েছে হিট-টু-কিল প্রযুক্তি। স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের জন্য এর নকশা তৈরি করা হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি মোতায়েন রেখেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। চিনা হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের সহযোগিতায় পিএসি-৩ মোতায়েন করেছে জাপানও।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের হাতে থাকা আয়রন ডোম কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত নয়। স্বল্পপাল্লার রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার ও কামানের গোলা আটকাতে এর নকশা তৈরি করেছেন ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা গবেষকেরা।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলা যুদ্ধে নিজেদের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে ইজরায়েলের আয়রন ডোম। তাদের ছোড়া ৯৮ শতাংশ রকেটকে আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে আয়রন ডোমের তামির ক্ষেপণাস্ত্র।
আমেরিকার মতো ইজরায়েলও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে একাধিক স্তরে সাজিয়েছে। আয়রন ডোমের মতোই অ্যারো নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে তাদের। এই ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরেও কাজ করতে সক্ষম।
গত বছর ইরানের ছোড়া একাধিক দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এই ব্যবস্থার সাহায্যেই শূন্যে ধ্বংস করে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে হামাসের সঙ্গে চলা যুদ্ধে দারুণ কাজ করেছে ‘ডেভিড্’সস্লিং’। এর নির্মাণকারী সংস্থা হল ইজরায়েলের রাফায়েল এবং আমেরিকার রেথিয়ন।
৭.৫ ম্যাক গতির মাঝারি পাল্লার রকেট, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে সক্ষম এই ইজরায়েলি ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’।
বিশ্বের অত্যাধুনিক ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’র তালিকায় রাশিয়ার তৈরি ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’-এর নাম অবশ্যই আসবে। এতে রয়েছে উন্নত রাডার, কমান্ড সেন্টার এবং ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র।
একসঙ্গে মোট ৮০টি লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানতে সক্ষম ক্রেমলিনের ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’। আকাশ পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমানে মস্কোর এই হাতিয়ার ব্যবহার করছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সব ধরনের পরিবেশে কাজ করতে পারে রুশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। মরুভূমির প্রবল গরম এবং হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় সমান ভাবে কার্যকর এই হাতিয়ার। ‘এস-৪০০’-এর রেডারের পাল্লা ৬০০ কিলোমিটার।
অন্যদিকে, স্টেল্থ যুদ্ধবিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আকাশেই ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এই রুশ অস্ত্রের।
‘এস-৪০০’-এর নির্মাণকারী সংস্থা হল আলমাজ় সেন্ট্রাল ডিজ়াইন ব্যুরো। এটি একসঙ্গে ৩০০টি লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে পারে। রাশিয়ার থেকে এই অস্ত্রের পাঁচটি ইউনিট আমদানি করেছে নয়াদিল্লি।
তার মধ্যে তিনটি ইতিমধ্যেই সরবরাহ করেছে মস্কো। ভারতীয় বিমানবাহিনী এর নতুন নাম দিয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’। পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমানকে রুখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এস-৪০০-এর পর অবশ্যই বলতে হবে বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কথা। ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় সুরক্ষা দিতে সক্ষম এই হাতিয়ার।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীও এটি ব্যবহার করে থাকে। বারাক-৮-এর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সর্বোচ্চ দুই ম্যাক গতিতে ছুটতে পারে। মূলত পাকিস্তানের বাবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের কথা মাথায় রেখে এটিকে তৈরি করা হয়েছে।
সীমান্তে ১৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজরায়েলি স্পাইডার নামের হাতিয়ার ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। এতে রয়েছে পাইথন-৫ এবং ডার্বি ক্ষেপণাস্ত্র।
এছাড়া যুদ্ধবিমান এবং স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের জন্য দেশীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও (ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন)-এর তৈরি আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর পাল্লা ৭০ কিলোমিটার।
গত ৮ ও ৯ মে রাতে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে ভারতের একাধিক বিমানবাহিনী ঘাঁটিকে নিশানা করে ইসলামাবাদ। ড্রোনের ঝাঁককে গুলি করে নামাতে পরিত্রাতার ভূমিকা নেয় জ়ু-২৩এমএম অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক এবং জ়েডএসইউ-২৩-৪ শিল্কা।
‘ঠান্ডা লড়াই’-এর সময় এই দুটি হাতিয়ার তৈরি করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)। পাকিস্তানের সঙ্গে ‘যুদ্ধে’পুরনো হলেও কার্যকর ভূমিকা দেখিয়েছে তারা। ইসলামাবাদের একটি ড্রোনকেও ভূপাতিত হতে দেয়নি এই অস্ত্র।
এছাড়া আকাশ প্রতিরক্ষায় সুইডিশ সংস্থা বফোর্সের তৈরি এল-৭০ ৪০ মিলিমিটারের বন্দুক, রাশিয়ার ‘পেচোরা’ ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ম্যান পোর্টেবল ‘ইগলা-এস’ ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা।
এছাড়াও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারে যথেষ্ট দক্ষ এ দেশের বাহিনী। অর্থাৎ, শত্রুর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ইলেকট্রনিক ব্যবস্থাকে জ্যামিং করে তাকে ভুল পথে চালিত করতে পারে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল অত্যাধুনিক লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় ডিআরডিও। অস্ত্রটির পোশাকি নাম ‘এমকে-টু(এ) লেজ়ার’।
এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম’ বা ডিইডব্লিউ। বর্তমান বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাছে এই হাতিয়ার রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, ইজরায়েলি আয়রন ডোমের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হবে আমেরিকার ‘গোল্ডেন ডোম’ ।
এর জন্য প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা) খরচ করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন।
তবে প্রাথমিকভাবে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে আড়াই হাজার কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটির বেশি) বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে বিশ্বের কোনো দেশের কাছে কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’নেই। ফলে গোল্ডেন ডোম তৈরি হলে, সেদিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে আমেরিকা।
তবে এই ধরনের প্রযুক্তি তৈরিতে খুব একটা পিছিয়ে নেই রাশিয়া ও চীনও।