পিয়নের সমান বেতনে কেনো শিক্ষক হবেন? | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

পিয়নের সমান বেতনে কেনো শিক্ষক হবেন?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কত কোটি টাকার বাজেট লুটপাট করেছে তা সামনে আনুন। মুক্তিযুদ্ধ প্রজেক্টের নাম করে ৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এইভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয় #জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, একজন শিক্ষককে যদি পিয়নের সমান বেতন দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কেন শিক্ষক হবেন?

এ জন্যই মেধাবী ছাত্ররা শিক্ষকতায় আসে না। এই সমস্যাগুলো দূর করতে হলে তো শিক্ষানীতি করতে হবে আপনাকে। এছাড়াও শিক্ষা কমিশন করে দুর্নীতি ও লুটপাটের শ্বেতপত্র প্রকাশ আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার, শিক্ষানীতি ও শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন এবং স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবিতে সর্বদলীয় জাতীয় শিক্ষা সংলাপ-২০২৫’-এ তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনার কারখানা যদি ভালো হয়, তাহলে আপনার প্রোডাক্টও ভালো হবে। যোগ্য শিক্ষকেরাই দেশপ্রেমিক নাগরিক সৃষ্টি করতে পারবেন। তা না হলে দেশ আরও ধ্বংসের পথে যাবে।

আমরা যদি প্রকৃত শিক্ষা দিতে পারি, সে অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে পারি, তাহলে দেশের চেহারাই বদলে যাবে।

এই যে ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ে এত টাকা খরচ করা হয়, এসব কিচ্ছু করার দরকার নাই। জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করেন। দেখবেন আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তাই বলছি যে আপনি স্থায়ী শিক্ষা কমিটি যদি না-ও করেন, আপনি অস্থায়ী শিক্ষা কমিশন করেন। তারপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন দুর্নীতি ও লুটপাটের।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কত কোটি টাকার বাজেট লুটপাট করেছে তা সামনে আনুন। মুক্তিযুদ্ধ প্রজেক্টের নাম করে ৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এইভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয় #জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়