ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দুটি ভুল এমসিকিউ থাকার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের পরীক্ষায় এ প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। প্রশ্নপত্রের এমন ‘ভুলে’ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এবার বিগত কয়েক বছরের তুলনায় প্রশ্ন জটিল করা হয়েছে। তার মধ্যে আবার দুটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের অপশন নেই। এ দুটি ‘ভুল’ প্রশ্নের নম্বর সবাইকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রশ্নপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ‘ক’ সেটের ২২ নম্বর প্রশ্নের ‘সঠিক উত্তর নেই’।
প্রশ্নে বলা হয়েছে উদ্দীপকে Y এর মান ০, যখন- i. A = 1 B = 0, ii. A = 0 B = 1, iii. A = 1 B = 1
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii (খ) i ও iii (গ) ii ও iii (ঘ) i, ii ও ইইই
এ প্রশ্নের উত্তরের ব্যাখ্যা হলো- XOR gate এর Output ০ হয় যখন দুটি ইনপুট একই হয়। সে হিসেবে অপশনে কোনো সঠিক উত্তর নেই।
২৪ নম্বর প্রশ্ন বলা হয়েছে, নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
void main ()
} int i = 15, j j =j++ Printf ("%d %d", i, j);
উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি রান করলে i ও j এর মান কত হবে?
(ক) 15,15 (গ) 16,16 (খ) 15,16 (ঘ) 16,17
এ প্রশ্নের উত্তর হবে 16, 15, যেটা অপশনে নেই।
রাজধানীর নামি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইসিটি বিষয়ের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করে বলেন, প্রশ্ন দুটি ভালো। কিন্তু এমসিকিউ প্রশ্নের যে চারটি অপশন দেওয়া থাকে, তার মধ্যে উত্তর রাখা হয়নি। এটা লিখিত পরীক্ষাও নয় যে, শিক্ষার্থীরা সঠিকটা লিখবে। এখানে শুধু সঠিক উত্তর ভরাট করার সুযোগ আছে। ফলে এ প্রশ্ন দুটি অসম্পূর্ণ বা ভুলই বলা যায়।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী মামুন হোসেন বলেন, প্রশ্নপত্র হাতে নেওয়ার পর থেকে কঠিন মনে হচ্ছিল। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। তার মধ্যে জানা দুটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের অপশন ছিল না। এসব নিয়ে পরীক্ষার হলে অনেক টেনশন কাজ করছিল। আমি চাই ওই দুই প্রশ্নের নম্বর যেন সবাইকে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে একজন অভিভাবক বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা অন্য সব বোর্ড পরীক্ষার তুলনায় কঠিন হয়। সেদিক থেকে আসসিটির প্রশ্ন যেমন কঠিন হয়েছে, তেমনি ভুলও ছিল। ভুল প্রশ্নপত্রের জন্য শিক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এমন সিদ্ধান্ত আশা করছি। এছাড়া আগামীতে প্রশ্নপত্র তৈরিতে বোর্ডকে আরও সচেতন হবে।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।