ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, স্কুলটির প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় গাছ কেটেছে ওই যুবদল নেতা। তবে ওই যবদল নেতার দাবি, প্রধান শিক্ষকের কথায় গাছ কেটেছেন তিনি। আর প্রধান শিক্ষক বলছেন, তিনি কিুছই জানেন না।
ঘটনাটি উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
অভিযুক্ত রাজন বিশ্বাস রায়গ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একতারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে তিনটি পুরনো ও বড় আকৃতির গাছ কেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজন বিশ্বাস বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় গত শুক্রবার রাতে গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। গাছগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। তবে যুবদল নেতার ভয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা যখন এ স্কুলে পড়েছি, তখন এ গাছগুলো আমরাই লাগিয়েছিলাম। গত শুক্রবার রাতে রাজন বিশ্বাস প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় কয়েকজন মিলে গাছগুলো কেটে নিয়ে যান। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। সরকারি গাছ এভাবে নিয়ম না মেনে কাটা যায় না।’
অভিযোগের বিষয়ে রাজন বিশ্বাস বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আমাকে গাছগুলো কাটতে বলেছেন। এ কারণেই আমি গাছগুলো কেটেছি। গাছ বিক্রির টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে দিব।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী দিলু ব্যাপারী বলেন, ‘রাজন আমার কাছে এসেছিল গাছ কাটার শ্রমিক নেওয়ার জন্য। আমি লোক পাঠিয়ে দেয়। তারা গাছ কেটে চলে আসে। এরপর আমি আর কিছু জানি না।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি হওয়ার পর আমরা সবাই বাসায় চলে যাই। পরবর্তী দুদিন স্কুল বন্ধ ছিল। রোববার এসে দেখি স্কুলের পাশের গাছগুলো কে বা কারা কেটে নিয়ে গেছে।’
রায়গ্রাম ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়টি আমি কিছুই জানি না। কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছি।