তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পাস, এমপিও বাতিলের শঙ্কা | এসএসসি/দাখিল নিউজ

তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পাস, এমপিও বাতিলের শঙ্কা

কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত থাকতে হলে প্রতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার নির্দিষ্ট সীমার নিচে নামা চলবে না। পাসের হার কম হলে বা শিক্ষার্থী কম হলে প্রতিষ্ঠানটির এমপিও স্থগিত বা বাতিল করা যেতে পারে।

#এসএসসি #শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান #ফেল #এমপিও

সারাদেশের মতো বৃহস্পতিবার নওগাঁতেও এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, জেলার মহাদেবপুর উপজেলার দুটি এবং আত্রাই উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করতে পারেনি। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও বাতিলের ঝুঁকিতে রয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো: মহাদেবপুর উপজেলার সোনাকুড়ি মালাহার মহিলা দাখিল মাদরাসা, একই উপজেলার সফাপুর সিনিয়র আলিম মাদরাসা এবং জেলার আত্রাই উপজেলার ফটকিয়া বাঁশবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা।

মাদরাসা এমপিও নীতিমালার ৫(৩) ধারা অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত থাকতে হলে প্রতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার নির্দিষ্ট সীমার নিচে নামা চলবে না। পাসের হার কম হলে বা শিক্ষার্থী কম হলে প্রতিষ্ঠানটির এমপিও স্থগিত বা বাতিল করা যেতে পারে।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেলার ১১টি উপজেলা থেকে মোট ৫ হাজার ৪৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৫১ জন পাস করলেও ১ হাজার ৬৭৯ জন ফেল করে।

মহাদেবপুর উপজেলার সোনাকুড়ি মালাহার ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। একই উপজেলার সফাপুর আলিম মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৬ জন, তারাও কেউ পাস করেনি।

এছাড়া, আত্রাই উপজেলার ফটকিয়া বাঁশবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা (নন-এমপিওভুক্ত) থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী এবং তারাও ফেল করেছে।

ফটকিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার গোলাম মোস্তফা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চারজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দুজন পরীক্ষায় অংশই নেয়নি, একজন দুর্ঘটনায় পড়ায় পুরো পরীক্ষা দিতে পারেনি এবং একজন ফেল করেছে। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকেরা পাঠদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

সোনাকুড়ি মালাহার মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মো. আকবর আলী জানান, গ্রামাঞ্চলে মেয়েদের বিয়ের হার বেশি। অনেকে বিয়ের পরেও পরীক্ষায় অংশ নেয়, ফলে নিয়মিত পড়াশোনা হয় না। এ ছাড়া এবার পরীক্ষার নিয়মকানুন কঠোর ছিল।

জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর পর কঠোরভাবে পরীক্ষা হওয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠানের ফল খারাপ হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি, তাদের বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#এসএসসি #শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান #ফেল #এমপিও