শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেননি, বরং মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি ক্রান্তিকালে তাকে দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। এটা করতে হয়েছিল মানুষের মুক্তির জন্য, অর্থনীতির মুক্তি জন্য ও রাজনীতির মুক্তির জন্য- এমনই মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
শুক্রবার (৩০ মে) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনের, যে বাংলাদেশে সবাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনা করবে, ঐক্যভদ্ধভাবে দেশের সমৃদ্ধি ঘটাবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শহীদ জিয়া চেয়েছিলেন স্বাধীনতার পরে প্রথম স্থাপিত এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় হবে। আমরা আশা করছি, আমরা বর্তমানে যারা আছি তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারবো।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকূব আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নজীবুর হক, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান।
এছাড়াও কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরের উদ্দেশ্যে র্যালী বের হয়। র্যালী শেষে জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর ক্যাম্পাসের গরীব-দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় পবিত্র কুরআন খতম এবং বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।