সিলেট বিশ্বনাথ উপজেলার এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন তার স্বজনদের দিয়ে বছর দেড়েক আগে 'জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসের হাত থেকে মাদ্রাসা রক্ষার' জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করান।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ থানার ওসি গত বছরের ২৬ জুলাই জেলা পুলিশের কাছে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে জামায়াত-শিবিরের কোনো সংশ্নিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন। একইভাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে একাডেমিক ভবন বরাদ্দ দেওয়া হলে অধ্যক্ষ তার ভগ্নিপতিকে বাদী করে ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সহকারী জজ আদালতে মামলা করান।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এছাড়া মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব না দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদ্রাসার দাতা সদস্য প্রবাসী আব্দুস সবুর ২০১৯ সালের ১২ মার্চ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গত বছরের ৫ জানুয়ারি দাখিল করা প্রতিবেদনে হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক বলে উল্লেখ করেন। অধ্যক্ষ হোসাইন নানা অভিযোগের পরও কৌশলে বহাল আছেন।
গতকাল শনিবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার পরিবার ও এলাকাবাসী।
অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, মাদ্রাসার জন্য যা ভালো তাই করেছি। ২১ সালে এসে টাকা আত্মসাতের কথা উঠছে। আবেদনকারীকে না জানিয়েই মাদ্রাসায় জামায়াত-শিবির বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। ঘুষ না দেওয়ায় তার বিপক্ষে প্রতিবেদন দেওয়া বলে দাবি তার।