বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাডেমিক ভবনের শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম এবং তার স্ত্রী বাংলা বিভাগের প্রভাষক রতœা খানম ১২ বছর ধরে শ্রেণিকক্ষে সপরিবারে বসবাস করে যাচ্ছেন।
২০১০ সালের আগস্ট মাসে কলেজটিতে যোগ দেন অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম। বাসাভাড়া হিসেবে তিনি প্রতি মাসে ৯ হাজার ১শ টাকা নিচ্ছেন। শ্রেণিকক্ষে আবাসিক গ্যাস-সংযোগও নেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের আবাসিক সুবিধা ভোগ করলে গৃহীত বাড়িভাড়া সরকারি কোষাগারে ফেরৎ দেয়ার বিধান থাকলেও তিনি তা না করে ১২ বছরে প্রায় ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বেআইনিভাবে কলেজ তহবিল থেকে পরিশোধ করেছেন। বিষয়টি পূর্বের ইউএনও নাসির উদ্দিন সারওয়ারের নজরে এলে এসব বিল আটকে দেন। ফলে প্রায় ৬০ হাজার টাকার গ্যাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে যা পরবর্তী সময়ে কলেজের দায় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, নিয়মবহির্ভূতভাবে কলেজের একাডেমিক ভবন-২ এর ২য় তলায় বারান্দায় গ্রিল দিয়ে পার্টিশন, ওয়াল নির্মাণ করে আলাদা গেট দিয়ে ২ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১১৫০ স্কয়ার ফিটের বড় একটি ক্লাস রুম দখল করে মাঝখানে ইটের ওয়াল দিয়ে ২টি রুম করেছেন। ওয়াশ রুম ভেঙে একাংশে কিচেন ও অন্য অংশে বাথরুম করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে নিয়মিত ক্লাস করা যাচ্ছে না। অনেক সময় ক্লাস না নিয়েই ছুটি দিতে হয়। আবার একাধিক শ্রেণির ক্লাস একসঙ্গেই নিতে হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম বলেন, কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাডেমিক ভাবনের একটি কক্ষে স্ত্রী সন্তানসহ আমি বাস করছি।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা শমসাদ বেগমকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।