করোনা পরিস্থিতির ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষতি কমিয়ে আনতে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) আগামী ৪ আগস্ট থেকে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া শুরু করছে। ইতোমধ্যেই পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে সব অনুষদ ও বিভাগের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের ৫৭তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৭তম সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ৫৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২১ অনুসরণ করে হাবিপ্রবির সব অনুষদে একযোগে অনলাইনে পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাবিপ্রবির আইকিউএসির আয়োজনে গত ১৪ জুলাই থেকে পরীক্ষা গ্রহণ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। গুগল ক্লাসরুম ও জুম এ্যাপস ব্যবহার করে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ-ডেক্সটপের মাধ্যমে কিভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে শিক্ষার্থীদের জন্য এ ব্যাপারে ভিডিও টিউটোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনুষদ বা বিভাগ শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কুইজ, মিড ও ডেমো পরীক্ষাও গ্রহণ করেছে, যাতে করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সংক্রান্ত তাদের কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়। পরীক্ষা শুরুর ২ দিন আগেই সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন বা চেয়ারম্যানরা শিক্ষার্থীদের রোল, পাসওয়ার্ড দেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সেশনজট কমাতে ইতিমধ্যেই পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল আইডিসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কিভাবে জুম ও গুগল ক্লাসরুমের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে, লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে এবং খাতা আপলোড করবে সেসব বিষয় অবগত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) দিক নির্দেশনা ও পরামর্শক্রমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ আগস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে সব অনুষদ ও বিভাগে একযোগে অনলাইনে লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি কমিয়ে আনতে এই অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে করে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাদের সেমিস্টারগুলো সম্পন্ন করতে পারে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠন করতে পারে।