পটুয়াখালীর দুমকিতে অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর নোটিসের জেরে অধ্যক্ষকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম, অফিস ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের আরবি বিষয়ের প্রভাষক ও তার স্বজনরা। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসায় এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে।
সহকর্মীরা গুরুতর আহত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রভাষকসহ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক সোহরাব হোসেন জানান, গত শনিবার অনুপস্থিত থাকায় আরবি প্রভাষক মাওলানা মজিবুর রহমান কামালকে শোকজ করেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী মো. শাহজালাল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকালে অধ্যক্ষ মাও. কাজী মো. শাহজালাল মাদ্রাসা গেটে পৌঁছালে পেছন থেকে প্রভাষক মজিবুর রহমান কামাল ও তার স্বজনরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মেরে তাকে (অধ্যক্ষ) রক্তাক্ত জখম করেন। খবর পেয়ে মাদ্রাসার সহকর্মীরা আহত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে অফিসকক্ষে নিয়ে যান।
এ সময় অভিযুক্তরা মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ঢুকে অধ্যক্ষের টেবিলের গ্লাস, আসবাব ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সহকর্মীরা আহত অধ্যক্ষকে দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত প্রভাষক মাওলানা মজিবুর রহমান কামাল হামলা-মারধরের অভিযোগ সাজানো দাবি করে বলেন, ‘তার গায়ে হাত দেওয়া হয়নি, তবে কথা-কাটাকাটি হয়েছে।’
দুমকি থানার ওসি আবদুল সালাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।