অষ্টমের নতুন ইংরেজি বই, ভাষার চেয়ে সাহিত্য বেশী - দৈনিকশিক্ষা

অষ্টমের নতুন ইংরেজি বই, ভাষার চেয়ে সাহিত্য বেশী

মাছুম বিল্লাহ |

মোট ১৯৯ পৃষ্ঠার অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইটিতে- বিউটি ইন পোয়েট্রি, দ্যা বিজু ফেস্টিভ্যাল, ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড পাওয়ার, প্যারাফ্রেজিং অ্যন্ড রিফ্রেজিং, রাইটিং কোহিসিভলি, ইনট্রোডিউসিং সামওয়ান ফরম্যালি, অ্য হোল ইন দ্যা ফেন্স, লাইফ ইন দ্যা উডস, রাইটিং ডিফারেন্টলি, সাকসেস ইজ কাউন্টেড সুইটেস্ট এবং দ্য মার্সেন্ট অব ভ্যানিসসহ মোট এগারোটি অধ্যায় রয়েছে। 

বিউটি ইন পোয়েট্রি অধ্যায়ে বলা হয়েছে, রাইমিং কবিতার একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। কবিতায় এই ছন্দ মেলানোর একটি প্যাটার্ন আছে। আর এই রাইমিং প্যাটার্নকে রাইমিং স্কিম বলা হয়। কবিতার একটি লাইন কিংবা স্ট্যানজা বা স্তবকের শেষে শব্দের যে পুনরুক্তি সেটিকেই নির্দেশ করা হয়। আর এই রাইম স্কিম লাইনে লাইনে, স্তবকে স্তবকে হতে পারে- আবার কবিতায় পুরোপুরি হতে পারে। রাইম স্কিম  কয়েক  ধরনের। উল্লেখযোগ্য রাইম স্কিমগুলোর কথা এখানে আলোচিত হয়েছে। ১। অলটারনেট রাইম প্যাটার্ন-যেখানে প্রথম ও তৃতীয় লাইনে মিল, দ্বিতীয় ও চতুর্থ লাইনে মিল অর্থাৎ সংক্ষেপে প্যাটার্নটি হচেছ  এ বি এ বি। ব্যালাড- ব্যালাডে তিনটি স্তবক থাকে এবং রাইম প্যাটার্ন হচেছ এবিএবি বিবিসি বি সি। মনোরাইম হচেছ কবিতার প্রতিটি লাইন একই ধরনের রাইম প্যাটার্নে লিখিত। কবিতা মন দিয়ে পড়লে আমরা রাইম প্যাটার্ন বুঝতে পারি।

দ্যা বিজু ফেস্টিফ্যাল বাংলাদেশে বসবাসরত চাকমা সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব যা আসলে বর্ষবরণ। অনেকটাই আমাদের পহেলা বৈশাখ পালনের মতো। তবে, এই অধ্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামার পয়েন্ট বুঝানোর জন্য এ ধরনের বর্ণনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উক্তি বুঝানোর জন্য যে ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়া হয়েছে সেটি চমৎকার। সরাসরি প্রত্যক্ষ উক্তি কাকে বলে, পরোক্ষ উক্তি কি এবং প্রত্যক্ষ থেকে পরোক্ষ কিভাবে করা হয় ইত্যাদির পরিবর্তে কিছুটা আলাদাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, একেবারে ট্রাডিশনাল নয়। যেমন আমরা রিপোর্টিংভাব কাকে বলে, রিপোর্টেড স্পীচ কি ইত্যাদি জানতে, বুঝতে ও বুঝাতে প্রচুর সময় ব্যয় করি, উক্তি  পরিবর্তনের নিয়ম কানুন পড়ি। কিন্তু সঠিকভাবে ও স্বত:স্ফূর্তভাবে পরিবর্তন করার দক্ষতা  অর্জিত হয় না অনেকের ক্ষেত্রে। শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে যখন জানতে পারলেন যে গতকাল এই শ্রেণিতে শিক্ষামন্ত্রী এসেছিলেন এবং সেই ঘটনাই শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষককে বলছেন। এভাবে উক্তির পরিবর্তন শেখানো বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত। 

ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড পাওয়ার-আমরা সবাই ভাষা ব্যবহার করি আমাদের চিন্তাধারা এবং ধারণাসমূহ অন্যের কাছে প্রকাশ করার জন্য। লক্ষ্য করলে দেখতে পাব, আমাদের এই কথোপকথনের মাধ্যমে একজনের অবস্থান এবং অন্যের উপর তার কর্তৃত্ব ইত্যাদি প্রকাশ পায়। কথা বলার টোন বা কন্ঠস্বরের মধ্যেই বুঝা যায়, যারা অধিকতর সম্মানীত, তারা যেভাবে কথা বলেন, একজন শিক্ষার্থী সেভাবে কথা বলতে পারেন না। যখন আমাদের বাবা-মা বলেন, এখন পড়ার সময় হয়েছে পড়তে বস, আমরা কি আমাদের বাবা মায়ের সাথে সেভাবে সেই মেজাজে কথা বলতে পারি? পারিনা। এখন কাজের সময়, আপনারা কাজে যান, এটি আমরা বলতে পারিনা। বক্তার এ ধরনের অবস্থান এবং কর্তৃত্বকে বলা হয় ‘ইনস্ট্রুমেন্টাল পাওয়ার।’ ইনস্ট্রুমেন্টাল পাওয়ার যাদের আছে তারা কে খুশী হলো, কে বেজার হলো সেদিকে খেয়াল রাখেন না। নির্দেশ দিয়ে যান। আমাদের সমাজে শিক্ষক, বাবা-মা, সিনিয়র সিটিজেন এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা ইনস্ট্রুমেন্টাল পাওয়ার ধারণ করেন। অন্যের সাথে কথা বলার সময় , যোগাযোগ রক্ষা করার সময় সমাজে তাদের অবস্থান এবং তাদের প্রতিপত্তির কথা প্রকাশ পায়। তাদের ভাষায় এ ধরনের কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় যা আমাদের বলে দেয়, সমাজে তাদের অবস্থান একটু ভিন্ন জায়গায়। আবার যারা তাদের নিচে অবস্থান করেন তাদের কথাবার্তা ও যোগাযোগ মাধ্যমও তাদের টোনের মধ্যে প্রকাশিত হয়। 

প্যারাফ্রেজিং অ্যান্ড রিফ্রেজিং- প্যারাফ্রেজিং বা ভাষান্তর  দ্বারা একটি বিবৃতির  পুনর্লিখন বুঝায়। আমরা যখন কোনো অধ্যায় বা টেক্সটকে প্যারাফ্রেজ করি, আমাদের প্রথমেই সেটির অর্থ বুঝতে হয়। তারপর সেটিকে সহজ ভাষায়  লিখতে হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে আমরা টেকস্টের মূল ধারণা , তথ্য বা বক্তব্যকে পরিবর্তন করতে পারব না। আমরা সাধারণত নিম্নলিখিত তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করে কোনো টেক্সেটর প্যারাফ্রেজ করি। সিনোনিম ব্যবহার করে মূল শব্দগুলোকে প্রতিস্থাপন করি। এটা আমরা করি বাক্যের গঠন পরিবর্তন করে কিন্তু বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না করে। শব্দ যোগ করে কিংবা অপসারণ করে। যেমন- পূর্ণিমা একজন বালিকা। তিনি চট্টগ্রামের দূরবর্তী গ্রামে বাস করেন।তার অনেক স্বপ্ন আছে। তার মধ্যে একটি হচেছ- তার নিজের একটা পরিচয় থাকবে এবং তিনি তার পরিবারকে সহায়তা করবেন। দারিদ্রের কারণে তিনি তার স্বপ্ন পূরণে চ্যালেঞ্জিং অবস্থা দেখছেন। এটিকে প্যারাফ্রেজ করলে যা দাঁড়াবে- পূর্ণিমা চট্টগ্রামের দূরবর্তী কোনো গ্রামে বাস করেন। তার স্বপ্নগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাওয়া স্বপ্ন হচেছ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। তিনি অবশ্য অর্থ উপার্জন করে পরিবারকে সহায়তা করতে চান। তবে দারিদ্রের কারণে তিনি তার স্বপ্ন পূরণে চ্যালেঞ্জ দেখছেন।

এই অধ্যায়ে আর একটি বিষয় লক্ষণীয়। সেটি হলো- দুটো পাঠকে পাশাপাশি রাখা হয়েছে যার একটিতে ‘সিমিলি’ ব্যবহার করা হয়েছে এবং অপরটিতে করা হয়নি। আবার রুডিয়ার্ড কিপলিংয়ের ‘ট্রু রয়্যালটি’ কবিতায় সিমিলি ব্যবহার করা হয়েছে। তারপর সিমিলি কাকে বলে তা বুঝানো হয়েছে, যা প্রশংসার যোগ্য। 

রাইটিং কোহিসিভলি- কোহিসিভ ডিভাইস হচেছ শব্দ বা শব্দগুচছ যেগুলো বাক্যের বিভিন্ন ধারণাকে সংযোজিত করে। আমরা কোনো টেক্সট পড়ার সময় বুঝতে পারি, তার মধ্যে  বিভিন্ন ধরনের ধারণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কোহিসিভ ডিভাইসের কাজ হচেছ সেগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এমনভাবে উপস্থাপন করা যা পাঠকের জন্য বুঝতে সহজ হয়। কোহিসিভ ডিভাইস বাক্যগুলোর মধ্যে আন্তসম্পর্ক তৈরি করে এবং বক্তব্যকে যৌক্তিকভাবে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। আমাদের বর্ণনার স্পষ্টতার উপর নির্ভর করে উপযুক্ত বা যথাযথ যোগাযোগ স্থাপন। ইংরেজিতে বিভিন্ন ধরনের কোহিসিভ ডিভাইস আছে, যেমন- প্রোনাউনের ব্যবহার, কনজাংকশনের ব্যবহার, কানেক্টটর বা লিংকিং ওয়ার্ডের এবং শব্দের ব্যবহার। এই অধ্যায়ে ‘হাউ স্কুল এজুকেট স্টুডেন্টস মেন্টাল হেলথ’ নামে একটি চমৎকার লেসন আছে যেখানে বলা হয়েছে, আমাদের চারদিকে ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোহিসিভ ডিভাইসের ব্যবহার লক্ষ্য করার মতো। তারপর শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কোহিসিভ ডিভাইস, এর ব্যবহারের উদ্দেশ্য ইত্যাদি বর্ণনা করে একটি পোস্টার তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেটি শ্রেণিকক্ষে সবার সামনে একজন শিক্ষার্থীকে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। 

ইনট্রুডিউসিং সামওয়ান ফরম্যালি-এই অধ্যায়ে শিশুশ্রমের কথা বলা হয়েছে। শিশুশ্রমের কারণ, কিভাবে এটা দূর করা যায়। এটি মারাত্মক ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন। দারিদ্র, শিক্ষার অভাবে হয়ে থাকে। এ ছাড়াও ফরম্যাল ও ইনফরম্যাল রাইটিং-এর কথা বলা হয়েছে। ফরমাল রাইটিং হচেছ যে লেখা দর্শকদের জন্য, পাঠকদের জন্য লেখা এবং যাদের সাথে লেখকের ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকেনা। তাই এ ধরনের লেখায় ব্যক্তিগত টোন কম থাকে এবং স্ট্যন্ডার্ড ভাষা ব্যবহৃত হয়। শিক্ষাগত, পেশাগত এবং আইনগত উদ্দেশ্যে আমরা ফরমাল ধরনের লেখা লিখি। আর ইনফরম্যাল হচেছ- ব্যক্তিগত ও ক্যাজুয়াল যোগাযোগের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করা হয় এবং কম ফরমাল ধরনের ভাষা ও টোন ব্যবহার করা হয়। পাঠককে সরাসরি ’তুমি, ’ আপনি’ বলে সম্বোধন করা হয়।

এ হোল ইন দ্যা ফেন্স-এ সামারি বা সারাংশ লেখা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সারাংশ হচেছ  কোনো একটি পাঠের সংক্ষিপ্ত ওভারভিউ। তবে মূল বিষয়গুলো থাকে। একটি সারাংশ পাঠককে কোনো একটি বড় বিষয়ের মূলভাব ও বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে জানতে পারেন। যিনি একটি বড় টেকস্টের সারাংশ লিখতে পারেন। তার অর্থ হচেছ বিষয়টি তিনি ভালভাবে বুঝেছেন অর্থৎ এটিও একটি দক্ষতা, একটি আর্ট। সারাংশের বৈশিষ্টাবলী এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। সারাংশ বক্তার মূল ভাব ও টোনকে ঠিক রেখে সংক্ষিপ্ত করে লেখা। মূল পাঠের এক চতুর্থাংশ কিংবা এক তৃতীয়াংশ হবে এর সাইজ। সারাংশ লেখার কৌশলও বলা হয়েছে যেমন ভালভাবে পাঠ করা, বিস্তারিত বর্ণনা ও উদাহরণ থেকে মূল ধারণাকে আলাদা করা, শুরুতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাক্য লেখা, কয়েকটি বাক্যকে একত্রিত করা, প্রুফ দেখা, যতিচিহ্ন, বিরাম চিহ্ন ঠিকমতো বসানো হয়েছে কিনা সেগুলো খেয়াল রাখা। 

লাইফ ইন দ্যা উড-এ সনেটের কথা বলা হয়েছে। সনেট এক ধরনের কবিতা যা ১৪ লাইনের হয়ে থাকে। সনেটে কবি একটি বিষয় নিয়ে লিখে থাকেন  যা প্রেম বা নৈতিকতার সাথে সম্পর্কিত। সনেটে বিভিন্ন ধরনের লিটারারি ডিভাইস যেমন- সিমিলি, মেটাফোর, ইমেজারি ব্যবহৃত হয় কবিতার বাণীকে ভালভাবে বুঝানোর জন্য। সবচেয়ে সাধারণ সনেট হচেছ প্রেট্রাকান বা ইটালিয়ান সনেট, শেক্সপিয়ারিয়ান সনেট, স্পেন্সেরিয়ান সনেট, মিলটনিক সনেট, টার্জা রাইমা এবং কাটেল সনেট। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের সনেট ’ শ্যাল আই কম্পেয়ার দি টু এ সামার’স ডে?’এখানে বিভিন্ন বস্তু ও বিষয়ের সাথে তুলনার কথা বলা হয়েছে। একটি কোরিয়ান লোকসাহিত্যের কথাও বলা হয়েছে এই অধ্যায়ে।

রাইটিং ডিফারেন্টলি চ্যাপ্টারে বই পড়ার গুরুত্ব ও উদ্দেশ্যাবলী বর্ণিত হয়েছে। আমরা তথ্য সংগ্রহের জন্য, নতুন কিছু জানার জন্য, আমাদের ধারণাগুলোকে একত্রিত করার জন্য, লেখার জন্য এবং কোনো টেকস্টকে মূল্যায়ন করার জন্য বা অন্যকোনো লিখিত বিষয় পড়ে থাকি। আমাদের জীবনে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। কারণ একটি ভাল বইয়ের চেয়ে আর কোনো ভাল বন্ধু বা সঙ্গী হতে পারে না। এ ধরনের চমৎকার উক্তি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়েছে এই অধ্যায়ে। বই পড়লে আমাদের সামনে নতুন জগত উন্মোচিত হয়। এই অধ্যায়ে তিন ধরনের টেকস্ট-এর কথাও বলা হয়েছে। যেমন ন্যারেটিভ, ডেসক্রিপটিভ এবং এক্সপোজিটরি । ন্যারেটিভ টেকস্ট হলো  দেখে একটি গল্প তৈরি করা। ডেসক্রিপটিভ-- সবচেয়ে ভাল বন্ধুর সাধারণ গুণাবলী উল্লেখ করা, আর এক্সপোজিটরি টেকস্টেও উদাহরণ হচেছ বন্ধুত্বের গুরুত্বের ওপর একটি  রচনা লেখা। 

সাকসেস ইজ কাউন্টেড সুইটেস্ট-এখানে রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা’ দ্যা রোড নট টেকেন’ যার সারমর্ম হচেছ -রবার্ট ফ্রস্ট এবং এডওয়ার্ড থমাস ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তারা যখন ইংল্যান্ডে ছিলেন তখন একত্রে অনেকবার হেঁটেছেন। এভাবে একদিন হাঁটার সময় তারা দুটো রাস্তার দেখা পেলেন। থমাস তখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন যে, কোন রাস্তায় তারা হাঁটবেন। পরবর্তী সময়ে বলেছেন যে,  অন্য রাস্তাই তাদের অনুসরণ করা উচিত ছিল। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রস্ট নিউ হ্যাম্পফায়ার ফিরে আসার পর তিনি কবিতাটি লিখেন এবং থমাসকে পাঠিয়ে দেন। কবিতাটির মূল বিষয় হচেছ , মানুষের জীবনে কোনো কিছু বেছে নেওয়ার ধারণা যা মানুষের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। কবি বর্ণনা করছেন যে, এক ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন যেখানে দুটো রাস্তা মিশে গেছে জঙ্গলের মধ্যে এবং বনটি হলুদ ফুলে পরিপূর্ণ। দুটো পথ অনুসরণ করতে না পারায় কবি দু:খ প্রকাশ করেছেন, দুটো পথই একইভাবে আকর্ষণীয়। কিন্তু সেখানে যাওয়া হয়েছে কম সংখ্যকবার।

এখানে কোনো কিছু বেছে নেওয়া এবং অনিশ্চয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কবি কম ভ্রমণ করা পথটিই বেঁছে নিয়েছিলেন এই ভেবে যে, বিষয়টি জীবনে তাকে ভীন্নতা এনে দেবে। শেষ পঙক্তিতে বলেছেন, কবি ভবিষ্যতে তার সিদ্ধান্তের ওপর গভীরভাবে চিন্তা করবেন। অপ্রচলিত পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্রকে নির্দেশ করা হয়েছে এখানে। সবশেষে কবিতাটি পাঠকদের উৎসাহ দিয়েছে এভাবে, কোনো কিছু বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিয়ে, সুযোগকে কাজে লাগিয়ে  সাধারণত সবাই যে পথ অবলম্বন করে তার থেকে একটু ভিন্নপথ অনুসরণ করা উচিত।

সাকসেস ইজ কাউন্টেড সুইটেস্ট কবিতাটি লিখেছেন আমেরিকান কবি এমিলি ডিকেনসন। কবিতাটির মূল বিষয়বস্ত হচেছ- যারা জীবনে সাফল্যমণ্ডিত হননি তারাই সাফল্যকে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা করতে পারেন। এখানে আরও বলা হয়েছে, যাদের কঠোর  ও অটুট ইচেছ আছে তারা বুঝতে পারেন এবং মূল্যবান কোনো কিছুর জয়গান গাইতে পারেন। বিপরীতে, বিজয়ী ব্যক্তিরা পরাজিত ব্যক্তিদের কষ্ট, অনুভূতি গভীরভাবে বুঝতে পারেন না। সাফল্য ও ব্যর্থতার এই পাশাপাশি অবস্থান এই ধারণার জন্ম দেয় যে, যারা বিজয়ের স্বাদ নিতে পারেননি তারাই বিজয়ের প্রকৃত জয়গান গাইতে পারেন। 

দ্যা মার্সেন্ট অব ভেনিস- এ বন্ধুত্বের বৈশিষ্টাবলী, জীবনে বন্ধু কেনো প্রয়োজন তা বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ধরনের শুরু করাটা চমৎকার আইডিয়া। বন্ধুদের সাথে আমরা সুখ দু:খের কথা শেয়ার করতে পারি, দু:খ ও আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারি, মনের অনেক যন্ত্রণাব বন্ধুর সাথে শেয়ার করে হালকা হতে পারি, নতুন কোন জায়গায় গেলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই, তখন কোনো মানুষ এগিয়ে এলে, অভয় দিলে আমাদের মন আনন্দে নেচে উঠে ওঠে এবং ওই ব্যক্তিই হয়ে ওঠেন আমাদের একজন বন্ধু। মুনিয়া ও লিপির মাধ্যমে তা বুঝানো হয়েছে। 

শেক্সপিয়ারের মার্সেন্ট অব ভেনিস ট্রাজেডি ও কমেডির মিশ্রন যাকে বলা হয় ট্রাজিকমেডি। আমরা জীবনে অনেক ক্ষেত্রে হাসি আনন্দ দু:খ ও বেদনা পাশাপাশি দেখতে পাই। এটি অত্যন্ত বাস্তব। সে ধরনের একটি নাটক হচেছ দ্যা মার্সেন্ট অব ভেনিস।

অ্যান্টোনিও একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার বন্ধুর জন্য শাইলকের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেন, কিন্তু অ্যান্টোনিও সময়মতো সেই অর্থ পরিশোধ করতে পারেননি। তাই শাইলক অ্যান্টোনিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নিত চান। পর্সিয়া যিনি এখন অ্যান্টোনিওর স্ত্রী একজন আইনজীবীর পোশাক পরে অ্যান্টোনিওকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

নতুন এই বইটিতে ল্যাংগুয়েজের চেয়ে লিটারেচারের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে বেশি। 

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, লিড এডুকেশন অ্যান্ড রিচার্স দৈনিক শিক্ষাডটকম 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - dainik shiksha ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ - dainik shiksha কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047109127044678