প্রতিবেশীরা দা দিয়ে কুপিয়ে মাথা থেকে মগজ ও খুলি আলাদা করার পর ৮ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে হেরে গেলেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের কলেজছাত্র আরশাদুল (২০)। গতকাল শনিবার রাত দেড়টায় আরশাদুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরশাদুলের মামা জহিরুল।
আরশাদুল ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে। তিনি এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা গেছে, গত ১৭ জুন আরশাদুলের ছোট ভাই আবদুল আহাদ প্রতিবেশী সোহেলদের জমির নালায় মাছ ধরার জন্য ফাঁদ পেতে রাখেন। নবী হোসেনের ছেলে জুনাইদ তা তুলে নিয়ে যায়। এ নিয়ে ঝগড়া হলেও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। পরদিন আরশাদুল নবী হোসেনের বাড়ির সামনে দিয়ে দোকানের উদ্দেশে রওনা দিলে নবী হোসেন এবং তার ছেলে সুজন মিয়া, রুবেল মিয়া ও রিপন মিয়া আরশাদুলকে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তার মাথা থেকে মগজ বেরিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় আরশাদুল ও মাসুদকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে আরশাদুলের মাথায় ৪৪টি সেলাই দিলেও তার মাথার মগজের কিছু অংশ রাখা হয়েছিল সাভারের ইনস্টিটিউট অব টিস্যু ব্যাংকিংয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী আরশাদুলের দাদি জুলেখা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘চোখের সামনে নবী হোসেন ও তার ছেলেরা হামলা চালিয়েছে।’
প্রতিবেশী মোবারক ও উজ্জল মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আরশাদুল শান্ত প্রকৃতির ছেলে। সে কোনোদিন কারোর সঙ্গে ঝগড়া করেননি।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ ঘটনায় গত ২৩ জুন ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হলে গত শুক্রবার রুবেল মিয়া নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এখন যেহেতু আরশাদুল মারা গেছেন সেহেতু ওই মামলাটি হত্যা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।