তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে, সেটিকে মাঝেমধ্যে নষ্ট করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অপচেষ্টা হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনা করার জন্যই মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে ও সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে চেক ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘দেশে একটি পক্ষ আছে, যারা ধর্মীয় পরিচয় ও বাঙালি পরিচয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকে। আমাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে আমরা বাঙালি এবং দ্বিতীয় পরিচয় হচ্ছে কে কোন ধর্মের। বাংলাদেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—আজ সবাই হাতে হাত ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি।’
চেক ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য বেনু কুমার দে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম কুমার শর্মা।
বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) হিল্লোল বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজীব চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, সাধারণ সম্পাদক অসীম দেব, উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি পঙ্কজ কুমার চৌধুরী, সহসভাপতি শৈবাল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সুপায়ন সুশীল প্রমুখ।