উচ্চ আদালতের রায় বাংলায় করার সফটওয়্যারটি ব্যবহারের সুযোগ থাকছে না সবার। শুধু বিচার বিভাগে নিয়োজিতরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রয়ারি) দৈনিক শিক্ষাকে এমন তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, ভারত থেকে পাওয়া এই সফওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারবেন শুধু বিচার বিভাগে নিয়োজিতরা। সবার জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে না।
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে ‘আমার ভাষা’ নামে একটি অনুবাদ সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এই সফটওয়্যার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ ও রায়গুলো ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এই সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এ ছাড়াও এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বেশ কয়েকজন বিচারপতি যুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘ভারতে তৈরি এই অনন্য অনুবাদ সফটওয়্যার ইনস্টলেশনে অংশীদার হতে পেরে এবং শুভেচ্ছাস্বরূপ বিতরণ করতে পেরে ভারত অত্যন্ত সম্মানিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন সহযোগিতা কেবল ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যেই সম্ভব হতে পারে, কারণ বাংলা ভারতের অন্যতম স্বীকৃত ভাষা। ভারত এবং বাংলাদেশের বিচারিক ব্যবস্থার উৎস, বিধান এবং ভাষা অভিন্ন।’ হাই কমিশনার মহামারির সময় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করণের জন্য ই-কোর্ট স্থাপনের মতো প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
অনুবাদের সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে একস্টেপ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া, যাদের মূল ‘অনুবাদ’ সফটওয়্যারটি ভারতে একইভাবে ইংরেজি থেকে বাংলাসহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই অনুবাদ সফটওয়্যারটিকে ২৬ নভেম্বর ২০১৯ থেকে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট (সুপ্রিম কোর্ট বিধিক অনুবাদ সফটওয়্যার) ব্যবহারের নির্দেশ দেয়।