উচ্চশিক্ষায় সশরীর ও অনলাইন শিক্ষা সমন্বিত করে ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়টির ওপর খসড়া নীতিমালায় জোর দেওয়া হয়েছে।
‘ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালাটি সরকারের অনুমোদনের জন্য শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। গতকাল বুধবার নীতিমালা প্রণয়নসংক্রান্ত কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় উচ্চশিক্ষায় যুগোপযোগী শিখন-শিক্ষণ পদ্ধতির এই খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
খসড়া নীতিমালায় সশরীর ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে পাঠদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী সশরীর পাঠদানের সুযোগবঞ্চিত হলে রেকর্ডেড ক্লাস থেকে লেখাপড়ার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। কার্যকর প্রতিকারমূলক শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের সুযোগ থাকবে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী প্রমুখ যুক্ত ছিলেন।
প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, এই নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ক্লাসরুম শিক্ষা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে। শিক্ষার্থীরা কার্যকরভাবে শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এটি শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা পাঠদানে আনন্দ পাবে। অংশগ্রহণমূলক শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। এই নীতিমালা শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তাদের চাকরি উপযোগী করে গড়ে তুলবে।