অপহরণের এক সপ্তাহেও উদ্ধার হয়নি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ৪নং বেতদীঘি ইউনিয়নের চিন্তামন (মাহালীপাড়া) গ্রামের অজল মহন্তের মেয়ে এবং মাদিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নূপুর মহন্ত (১৬)।
পরিবারের অভিযোগ, ইতোমধ্যে মামলার ২ ও ৩ নং আসামি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে হুমকি দিচ্ছেন নূপুরের পরিবারকে।
নূপুর অপহরণের অভিযোগে গত ১৯ জানুয়ারি ফুলবাড়ী থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নূপুরের বাবা অজল মহন্ত।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, বেতদীঘি ইউনিয়নের চকএনায়েতপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে রুবেল ইসলাম (৩০), মৃত তফিল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫২), সাইফুল ইসলামের ছেলে জুয়েল (২৭) ও আল আমিন (২২) ও সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রাহিলা বেগম (৪৫) গত ১৭ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কৌশলে বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। তখন মাদিলাহাটের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় নূপুর চিৎকার দিলে স্থানীয়রা চেষ্টা করেও মাইক্রোবাসকে আটকাতে পারেননি।
অজল মহন্ত বলেন, ‘রুবেল ইসলামের নেতৃত্বে আসামিরা তার নাবালিকা মেয়ে নূপুর মহন্তকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছে।’
এদিক পুলিশ বলছে, ইতোমধ্যে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েও নূপুরকে উদ্ধার করতে পারেনি।
নূপুরের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ইতোমধ্যে মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাহিলা বেগম আদালত থেকে জামিনে এসে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতিসহ মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
ফুলবাড়ী শাখা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ধীমান চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ফুলবাড়ীতে একের পর এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী ও কিশোরীদের অপহরণসহ ধর্ষণ ঘটনা সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। নূপুর মহন্তকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে।’
মাদিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার কলেজের ছাত্রী নূপুর মহন্তকে অপহরণ করার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি এখন জেনে আমি ছাত্রীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করব।’
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এর চলতি দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা দায়ের করতে দেরি হওয়ায় মেয়েটিকে উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’