আজ থেকে ২৮ বছর আগের কথা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি মাত্র। ক্লাশে খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি কোন স্যার আসবেন আর আমাদের নতুন কিছু শেখাবেন। রুটিনে স্যারের নাম লেখা হাসান আজিজুল হক। তাঁর সম্পর্কে আমার সামান্য ধারণা ছিল। কিন্তু স্যার যে এত বড় মাপের সাহিত্যিক, সেটা জানতাম না তখন। ক্লাসের সব ছাত্রই স্যারের জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু আমার অনেক সহপাঠীর তখনও স্যার সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। যাহোক, সাদা পাঞ্জাবি, পায়জামা আর একজোড়া সাধারণ চটি পায়ে ক্লাশে প্রবেশ করলেন প্রফেসর হাসান আজিজুল হক। স্যারের কাঁধে একটি ঝুলন্ত ব্যাগ ছিল। স্যার টেবিলে ব্যাগটি রাখলেন। গরমের দিন। রাজশাহীতে গরম একটু বেশি থাকে। পাঞ্জাবির পকেট থেকে রুমাল বের করে স্যার মুখ ও মাথার ঘাম মুছলেন। ব্যাগ থেকে চশমা বের করে চোখে দিলেন। মিষ্টি হাসি দিয়ে বললেন, তোমরা কেমন অনুভব করছ? আমরা সবাই সমস্বরে বললাম, স্যার ভাল, আপনি কেমন আছেন, স্যার? স্যার জবাব দিলেন সুস্থভাবেই শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে।
আমার কয়েকজন সহপাঠী অস্থির হয়ে গেল স্যারের পরিচয় জানার জন্য। স্যার বিনয়ের সাথে বললেন, পরিচয় দেয়ার মত ঝুলিতে তেমন কিছু নেই। তোমাদের মতই আমি একজন লার্নার। তোমাদের দু’চারটি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, এটাই বড় পরিচয়।
স্যারের কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এর মধ্যে বারান্দায় বিভাগের একজন পিয়ন হাঁটছিল। স্যার তাকে ইশারায় ডাকলেন এবং ব্যাগ থেকে সাইকেলের চাবি বের করে তাকে দিয়ে কানে কানে কিছু বললেন। সম্ভবত বাই সাইকেলটি স্যারের চেম্বারের সামনে আনতে বলেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বড় একজন অধ্যাপক বাইসাইকেল চালিয়ে ক্লাস নিতে আসেন এটা বুঝতে পেরে আমাদের কৌতুহল আরো বেড়ে গেল। স্যার অন্য শিক্ষকদের মত গতানুগতিক ছিলেন না। তার বলার কৌশল, শব্দচয়ন, বাচনভঙ্গি ছিল অভিনব। সবাই তাকে কথা সাহিত্যিক হিসাবে চিনলেও তিনি ছিলেন বড় মাপের একজন দার্শনিক এবং চিন্তাবিদ।
সামনের বেঞ্চে বসেছিলাম আমি। আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন সক্রেটিসের নাম আমি শুনেছি কিনা। আমি বললাম, স্যার জানি। তাকে হেমলক বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। স্যার বললেন, কে তাকে হত্যা করেছিল? আমি হত্যাকারীর নাম বলতে পারলাম না। স্যার একটু বিস্ময়ের সাথে বললেন, যারা তাকে মেরেছিল তারা খুব শক্তিশালী ছিল, রাজা ছিল। তুমি সেই রাজাদের নাম জান না, অথচ সক্রেটিসের মত একজন সাধারণ মানুষের পরিচয় জান। এর কারণ কী?
স্যারের সেদিনের কথা আমাকে চিন্তায় ফেলে দিল। এরপর আমাকে বললেন, জ্ঞান কী বলতে পার? খুব নার্ভাস ছিলাম। স্যার শুরু করলেন সক্রেটিসের জ্ঞানতত্ত্ব। স্যারের কথাগুলো মন্ত্রের মত মনে হচ্ছিল। তিনি বললেন, প্রজ্ঞার ব্যূহ সাধন করে দিব্যানুভূতিতে কল্পনাতীতভাবে বিষয়ী চৈতন্যের গভীরতায় আত্মপ্রণিধান ঘটিয়ে থাকেন একজন জ্ঞানী।
প্রায় ২ ঘণ্টা স্যার সেদিন আমাদের ক্লাশে ছিলেন। তারপর অনেক ক্লাশ পেয়েছি স্যারের। স্যারের মৃত্যুর খবর শোনার পর সে কথাগুলো খুব মনে পড়ছে। তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝি কত বড় মাপের একজন সাহিত্যিককে হারালাম আমরা। বাংলা সাহিত্যে এক বড় শূন্যতার সৃষ্টি হবে, এটা সহজেই অনুমেয়। স্যারের বেশ কয়েকটি সেমিনারে যোগ দেয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছিল। হাসান স্যার ছিলেন মুখ্য বক্তা। সেদিন তার মুখে উচ্চারিত একটি লাইন আজও আমার মনে পড়ে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা কী, এমন একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, কৃমিকীটে খাওয়া দগ্ধ লাশের চেহারা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার। এধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে প্রকৃত মেধাবী জাতি গঠন সম্ভব নয়।
হাসান স্যার বাংলা সাহিত্যকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সে ব্যাখ্যায় পরে আসি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কেমন মানুষ ছিলেন, সেটা সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। যেহেতু স্যারের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ আমার হয়েছিল, তাই তার ব্যক্তিগত দর্শন, আদর্শ, চিন্তা, আবেগ ও অনুভূতি সম্পর্কে জানার কিছুটা সুযোগ হয়েছিল। হাসান স্যার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গভীরভাবে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করতেন। উগ্রবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল পরিষ্কার। তিনি উদার গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাস করতেন। জঙ্গিবাদসহ নানা ইস্যুতে তিনি কলম ধরেছেন এবং একটি সুষ্ঠ ও আদর্শ সমাজ নির্মাণে কী কী করনীয়, তা জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি ছিলেন দর্শনের একজন বড় মাপের অধ্যাপক। কাল মার্কসের দর্শনের প্রতি হাসান স্যারের এক ভিন্ন ধরনের দুর্বলতা ছিল। সাম্যবাদ মনেপ্রাণে ধারণ করতেন। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, কথাসাহিত্যিক, চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ। লেখকদের প্রধান অবদান তাদের সৃষ্টিকর্ম। তার শিখরস্পর্শী রচনার উৎকর্ষ নিয়ে কারও কোনও মতপার্থক্য নেই। তার জীবনসম্পৃক্ত লেখাগুলো তাকে বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য স্থান করে দিয়েছে। তিনি ছিলেন এমন একজন প্রগতিশীল লেখক, যিনি কখনোই তার নিজের রাজনৈতিক দর্শন এবং বিশ্বাস গোপন করেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিল্পসাহিত্যকে কখনই গণ্ডিবদ্ধ করা যায় না। এগুলো সব সময় তত্ত্বের গণ্ডি পেরিয়ে যায়।
হাসান স্যারের অবদান শুধু লেখালেখিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। নানাবিধ প্রগতিশীল এবং গণবান্ধব কর্মসূচিতে অংশ নিতেন তিনি। গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলনে তার অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। আদিবাসী অধিকার আন্দোলন এবং দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলণে তার অংশগ্রহণ ছিল নেতৃত্ব ও তাত্ত্বিক পর্যায়ে। অসংখ্য তরুণের মানসিক আশ্রয় ছিলেন তিনি। বটবৃক্ষের মতো এই মহান শিক্ষক ও লেখক সব সময় সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, কলম ধরেছেন নানা প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে। উচিত ও ন্যায় কথা বলতেন স্বভাবজাত ভঙ্গিতে। তিনি তরুণদের সব সময় বোঝাতেন, কোনও সমস্যাকে মোকাবিলা করতে হয় বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, সাহস আর কৌশল দিয়ে। মার্কসবাদী দর্শনে বিশ্বাসী এই সাহিত্যিক মনে করতেন, জীবন একটি যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে চোখ বুজে সময় কাটানোর সুযোগ নেই। তিনি সক্রেটিস ও কাল মার্কসের দ্বান্দ্বিক তত্বে বিশ্বাসী ছিলেন। তার সামনের মানুষটি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে মানুষটিকে তিনি সক্রেটিসীয় পদ্ধতিতে অনেক প্রশ্ন করতেন। তবে কখনই বিব্রত করতেন না। সক্রেটিস তার সামনে উপস্থিত মানুষগুলোকে প্রশ্ন করতেন এবং তাদের ভেতরের অন্তঃসারশূন্যতাকে বের করে আনতেন। হাসান স্যার ঠিক তেমনই ছিলেন, যিনি দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতে প্রকৃত সত্য তুলে আনতেন। মনের কথাগুলোকে জীবন্ত করে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। বাকপটু ছিলেন হাসান স্যার। সমাজের ক্ষতগুলোকে নান্দনিক, শৈল্পিক আর প্রতীকী ভাবধারায় ফুটিয়ে তুলতে পারতেন, যা খুব কম লেখকের মধ্যে দেখা যায়। ব্যক্তিগত কারিশমা অর্জন করেছিলেন এই দার্শনিক। তার স্বভাবসুলভ বাচনভঙ্গি, সদাপ্রসন্নভাব, অবিচল চিত্ত, মানবতাবোধ, উন্নত সংস্কৃতি এবং শুদ্ধতা তাকে মহীয়ান করেছিল। ভোগবাদী সমাজ ব্যবস্থাকে অপছন্দ করতেন। নিজেকে মুক্ত রাখতে পেরেছিলেন ভোগের দাসত্ব থেকে। তিনি সক্রেটিসের ‘নিজেকে জানো’ তত্ত্বটি মনে প্রাণে ধারণ করতেন। মনে করতেন প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের ভেতরটা খোঁড়াখুঁড়ি করা, ভেতরে যা কিছু আছে তার সবটাই বুদ্ধি ও যুক্তির পরিষ্কার আলোতে মেলে ধরা। হাসান স্যারের লেখনীর মূল ক্ষেত্র ছিল মানুষ। মানবতাবাদ, ধর্ম, নৈতিকতা, জ্ঞান এসবই ছিল তার আলোচনা আর অনুসন্ধানের বিষয়। হাসান স্যার আমাদের শেখাতেন, সমাজের প্রতিটি স্তর এক গভীরতম অসুখে আক্রান্ত। সমাজের একজন হিসাবে এর নিদান খুঁজে বের করতে হবে। বিরতি দিলে চলবে না।
হাসান স্যার এমন একজন লেখক ছিলেন যিনি কখনই পুরস্করের আশায় লিখতেন না। তবুও তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার এবং সাহিত্যরত্ন পুরস্কারসহ নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে অবসর নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ারে ছিলেন ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে। মহান এই শিক্ষক ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি পান। এছাড়াও বহু পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। তার চলে যাওয়া বাংলা সাহিত্যের এক অপূরণীয় ক্ষতি। এত বড় সাহিত্যিক হয়েও তিনি সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তাকে নির্যাতিত হতে হয়েছিল।
তার উল্লেখযোগ্য অনেক সৃষ্টিকর্ম রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’, ‘নামহীন গোত্রহীন’, ‘রাঢ় বঙ্গের গল্প’, ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’, ‘বৃত্তায়ন’, ‘ছিন্নমাথা’, ‘সক্রেটিস’ ইত্যাদি। ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার হিসাবে বাংলা সাহিত্যে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন তিনি। ১৯৬০ এর দশকে লেখালেখি শুরু করলেও প্রথম উপন্যাস লেখেন ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে। সে উপন্যাসের পটভূমি অবিভক্ত বঙ্গের রাঢ় অঞ্চল। এক বড় কাল পর্বকে ধরে রেখেছে এ উপন্যাস যেখানে মহামারি, অনাহার, সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং দেশভাগের বিন্দুগুলো স্পর্শ করে আখ্যান এগিয়েছে ভিন্নতর ধারায়। এই উপন্যাসের জন্যই ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে আনন্দ পুরষ্কার প্রদান করা হয় তাকে। ব্যক্তি, সমাজ, পরিবার, রাষ্ট্র প্রভৃতির সংকট, শিক্ষার দৈনদশা, মূল্যবোধের অবক্ষয়, চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, মানুষের অনুভব শক্তি, দুর্নীতি, অপসংস্কৃতি, অপরাজনীতি, মূল্যবোধহীন সমাজ কাঠামো, অমানবিক স্বৈরতন্ত্র সহ নানাবিধ সমস্যা ও বিষয়গুলো সূক্ষ্ম সুতোয় বুননে একজন দক্ষ কারিগর ছিলেন তিনি।
তার আগুন পাখি সৃষ্টিকর্মটি এক অনন্য চরিত্রে সমুজ্বল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও রুশ বিপ্লব পরবর্তী সময়কাল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ফ্যাসিবাদ, ভারত বিভক্তি ও স্বাধীনতা আন্দোলন, ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষ, ভয়ঙ্কর ধর্মীয় দাঙ্গা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে এর কাহিনী। হাসান আজিজুল হক সমকালীন জীবনের নানা জটিলতাকে আক্ষরিক শব্দ চয়নে যেভাবে শৈল্পিক রূপদানে সক্ষম ছিলেন, তা অন্যান্য লেখকের লেখায় কম চোখে পড়ে। তিনি এমন একজন লেখক যার পরিচিতির গণ্ডি শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দেশের সীমানা পেরিয়ে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে বহির্বিশ্বে। হিন্দি, উর্দু, রুশ, চেক প্রভৃতি ভাষায় অনুদিত হয়েছে তার সৃষ্টিকর্ম। তার কথা সাহিত্য ‘আগুন পাখি’ ইংরেজি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। প্রান্তিক মানুষের জীবনধারা, ব্যক্তিমনের সুপ্ত অনুভূতি, ধর্মীয় উগ্রবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, রাজনীতির সংকট, বিপন্ন মানবতা ইত্যাদি বিষয়কে কলমের নিখুঁত আঁচড়ে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন, যা পাঠক হৃদয়ে আলোড়ন জাগাতে সক্ষম হয়েছে। গণতন্ত্র, সামাজিক বৈষম্য, সংবিধান, জাতিসত্তার বিকাশে নানা প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে এক দার্শনিক পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন ঘটেছে তার লেখায়।
হাসান আজিজুল হক নেই। তবে তার সৃষ্টিকর্ম তাকে অমর করে রাখবে। ধ্রূপদী সাহিত্য নির্মাণের একজন দক্ষ কারিগরকে আমরা হারিয়েছি। কিন্তু সৃষ্টিগুণে তিনি যুগের পর যুগ অন্ধকার গগনের শুকতারা হয়ে বেঁচে থাকবেন।
লেখক : মাজহার মান্নান, সহকারী অধ্যাপক বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা, ঢাকা সেনানিবাস