এমপিও-উচ্চতর গ্রেডের নামে টাকা দাবি, পুলিশকে জানাতে বললো অধিদপ্তর - দৈনিকশিক্ষা

এমপিও-উচ্চতর গ্রেডের নামে টাকা দাবি, পুলিশকে জানাতে বললো অধিদপ্তর

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

এমপিওভুক্তি, উচ্চতর গ্রেড, এমপিও শিটে নাম পদবি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেয়ার আশ্বাসে বিভিন্ন মাদরাসার প্রধান ও শিক্ষকদের ফোন করে টাকা দাবি করা হচ্ছে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে একাধিক প্রতারক চক্র টেলিফোন ও ইমেইলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে। তারা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা চাচ্ছেন। তবে, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, কোনো কাজে টাকা দেয়ার প্রয়োজন নেই। টাকার বিনিময়ে অধিদপ্তরের কোনো কাজ হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ টাকা দাবি করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে মাদরাসার প্রধান, শিক্ষক ও কর্মচারীদের বলেছে অধিদপ্তর। একইসঙ্গে টাকা দাবি করতে ব্যবহৃত ফোন নম্বরগুলো অধিদপ্তরকে জানাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। 

প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মো. জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রকার প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি সরাসরি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙি ব্যক্তির এমপিওভুক্তি করা, উচ্চতর স্কেল দেয়া, পদোন্নতি, ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতা, এমপিও শিটে নাম, পদবি, জন্মতারিখ সংশোধন, বকেয়া দেয়া, প্রশিক্ষণে শিক্ষক-কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্স দেয়া ও কর্তনসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসায় ফোন, ইমেইল, এসএমএস করে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে। ইতোমধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে কোনো কাজে টাকা দেয়ার প্রয়োজন নেই। অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধিবিধানের ভিত্তিতে সেবা দিয়ে থাকে। টাকার বিনিময়ে বা উপহারের বিনিময়ে কোনো কিছুই হওয়ার সুযোগ নেই। অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। যে সমস্ত ফোন নম্বর দিয়ে টেলিফোন করে টাকা দাবি করে সে সমস্ত নম্বরগুলো চিহ্নিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানানো প্রয়োজন।

অধিদপ্তর বলছে, এ ধরনের প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি বা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কথিত কর্মকর্তা কর্তৃক ই-মেইল, এসএমএস, ফোন, চিঠিপত্র বা তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভিত্তিতে কাউকে কোনো টাকা বা উপহার না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। কেউ কোনো ধরনের সুবিধা বা টাকা দাবি করলেই বুঝতে হবে এটা প্রতারক চক্রের কাজ, এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল    SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045580863952637