এমপিওভুক্ত কর্মচারীরাও শিক্ষক হতে চান - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওভুক্ত কর্মচারীরাও শিক্ষক হতে চান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা। আর অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের বিভাগীয় কোটায় শিক্ষক পদে পদোন্নতি, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ, পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।  

ছবি : দৈনিক শিক্ষা

শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের নেতারা। 

তাদের দাবিগুলো হলো, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের নূন্যতম ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে হবে এবং চাকরি বিধি অনুসরণ করে তাদের পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। পদের নাম পরিবর্তন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা করতে হবে এবং কম্পিউটারসহ অন্যান্য উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পূর্বঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের চাকরিবিধি-২০১২ বাস্তবায়ন এবং গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটিতে কর্মচারীদের সদস্য পদ রাখার ব্যবস্থা করা। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভাগীয় কোটায় শিক্ষকসহ অন্যান্য পদে পদোন্নতি এবং সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

সংবাদ সম্মেলনে কর্মচারী নেতারা বলেন, আমরা সারাদিন কাজ করে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা বেতন পাই। চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে অবসরগ্রহণ পর্যন্ত আমাদের বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয় না। চাকরি জীবনে নেই কোন পদোন্নতি। চাকরি বিধিমালা অনুসরণ না করার কোন নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা আমাদের দেয়া হয় না। দেয়া হয় না ওভারটাইম ভাতা। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কম্পিউটারসহ অন্যকোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুপাতে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি পায়, তবে,  আমাদের পদ সংখ্যা বা বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয় না।

তারা আরও বলেন, পাঁচ দফা দাবিতে ডিসি, ইউএনও এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছি। কিন্তু আমাদের অবস্থার উন্নয়নে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা হতাশ। আগামী এক মাসের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নিলে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

সংবাদ সম্মেলেনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম মন্টু, কর্মচারী শাহিন ও সোলায়মানসহ অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত বিতর্কিত শিক্ষক ও বাংলাদেশে শিক্ষক ইউনিয়নের বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল বাশার হওলাদার উপস্থিত ছিলেন। এই বাশার সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসরে গেলেও নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়েছেন গত প্রায় সাত/আট বছর। তার বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার রহমতুল্লাহ স্কুলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বাশারের উপস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে কর্মচারীরা জানান, ‘বাশার সাহেব নিজে থেকে এসে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারে বসেছেন, একাত্মতা জানিয়েছেন।’ 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE   করতে ক্লিক করুন

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041830539703369