সিলেটের এমসি (মুরির চাঁদ) কলেজে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে করা আবেদনের ওপর আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন এই মামলার বাদী। আবেদনকারীর আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন বলেন,‘বাদী ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে বিচারিক আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২৬ ধারায় আদালত পরিবর্তনের এই আবেদন করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমান আদালতে ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে বাদী এ আবেদন করেছেন। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলো- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
আসামিরা বর্তমানে কারাগারে আছে। গত ১৭ জনুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক। মামলাটি বতর্মানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এক গৃহবধূকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের একদল কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস দখল করে জঘন্য এ ঘটনায় দেশে ও বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে একে একে আসামিরা গ্রেফতার হয়।