চলতি বছরও এসএসসি-সমমান ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার আগে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিলেও এখন সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চাচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। বোর্ডগুলোর কর্তারা এসএসসি-এইচএসসির টেস্ট পরীক্ষা নিতে চাচ্ছেন না। তবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাইলে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নিতে পারবে।
রোববার বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এক সভায় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তার টেস্ট পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
একটি সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসির টেস্ট পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় টেস্ট পরীক্ষা না নেয়ার পক্ষে বেশিরভাগ কর্মকর্তা মত দিয়েছেন। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় আইসিটি, ধর্মীয় শিক্ষা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয় থাকছে না। অর্থাৎ এসব বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে না। এবছর বিজ্ঞান বিভাগে প্রতিটি বিষয়ে মোট ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে সৃজনশীল থাকবে ৩০ নম্বরের (উত্তর দিতে হবে তিনটি প্রশ্নের) এবং নৈর্ব্যক্তিক থাকবে ১৫ নম্বরের। এছাড়া মানবিক বিভাগে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হবে। এর মধ্যে সৃজনশীল থাকবে ৪০ নম্বরের (উত্তর দিতে হবে চারটি প্রশ্নের) এবং নৈর্ব্যক্তিক থাকবে ১৫ নম্বরের। তবে কোনো বিষয়ের প্রথম পত্র (যেমন- বাংলা, ইংরেজি) ৫৫ নম্বরের হলে দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের। দুই পত্র মিলে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রস্তাবনা করেছেন। তা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবো। শিগগিরই এ বিষয়ে অনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।