এসএসসি পরীক্ষার্থী সিয়ামের পায়ের লেখা দেখেই মুগ্ধ সবাই - দৈনিকশিক্ষা

এসএসসি পরীক্ষার্থী সিয়ামের পায়ের লেখা দেখেই মুগ্ধ সবাই

দৈনিকশিক্ষাডটকম, জামালপুর |

দৈনিকশিক্ষাডটকম, জামালপুর: দারিদ্র্য ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মেধাবী ছাত্র সিয়াম। অন্যের সাহায্য ছাড়াই পা দিয়ে লিখে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সে।

সিয়াম জামালপুরে সরিষাবাড়ীর উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের উদনাপাড়া গ্রামের দিনমজুর দম্পতি জিন্নাহ মিয়ার ছেলে ও চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র।

জানা যায়, বাবা দিনমজুরের কাজ করেন আর মা গৃহিণী। জিন্নাহ-জোসনা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে সিয়াম সবার ছোট। জন্ম থেকেই তার দুটি হাত না থাকলেও হার মানেনি প্রতিবন্ধকতার কাছে। লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। ছোটকাল থেকেই ভাই-বোন ও প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে গিয়ে বসে থাকতেন তাদের স্কুলে। তার পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ দেখে স্কুলে ভর্তি করে নেন শিক্ষক। বিভিন্ন অক্ষরের ওপর পা দিয়ে চক পেন্সিলে ঘষামাজা করে লেখা শেখান শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা। সেখান থেকেই লেখার অভ্যাস শুরু হয় সিয়ামের। পরবর্তী সময়ে অভ্যাসের সঙ্গে নিজের বাঁ পা দিয়ে লেখার ধারাবাহিকতায় শুরু করে পড়াশোনা। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ডোয়াইল ইউনিয়নের উদনাপাড়া ব্র্যাক শিশু নিকেতন স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করে ভালো ফলাফল নিয়ে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে সিয়াম। এর পর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সেখান থেকেই জেএসসি পরীক্ষাতেও ভালো ফলাফল করে বর্তমানে দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগ থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিচ্ছে হরখালী মুজিবুর রহমান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে।

সিয়ামের বাবা জিন্নাহ মিয়া ও মা জোসনা বেগম বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে আমরা ওকে লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব জিনিস এনে দিতে পারি না। অনেক সময় বন্ধুদের বই, গাইড এনে পড়ে। ওর ইচ্ছা লেখাপড়া শেষ করে একটা সরকারি চাকরি করবে।

সিয়ামের শিক্ষক ও চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, সিয়াম আমাদের এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ভর্তির পর তার লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে বিনা বেতনে তাকে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়িয়েছি। তার স্কুল ড্রেস বিদ্যালয় থেকে উপহার দেয়া হয়েছে। সিয়ামের লেখাপড়ার জন্য ও সিয়ামের পরিবারকে বিভিন্ন সময় স্কুলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। সে যদি আমাদের এখানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় তাহলে তাকে বিনা বেতনে পড়ানো হবে। তার জন্য সরকার ও বিত্তশালীদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00341796875