বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হলগুলোতে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি হলে শনাক্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন শিক্ষার্থী।
শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, প্রতিটা হলেই করোনায় আক্রান্ত শিক্ষার্থী রয়েছে। এখন পর্যন্ত কতজন আক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে প্রতিটি হলে ২-৩ জন করে আক্রান্ত রয়েছে। সে হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ থেকে ২২ জন হবে। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের হলের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, হলে তো আসলে আলাদা করে রাখার সুযোগ নেই। কেউ পরীক্ষা করার পর পজিটিভ হলেই তাকে আমরা বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বুঝে হল বন্ধে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।
করোনার প্রকোপ বাড়ায় শনিবার থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। ১২ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৭৪তম অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে জুলাই-২০২১ টার্মের সব লেভেল-টার্মের শিক্ষার্থীদের থিউরি ক্লাস, ক্লাস টেস্ট এবং ল্যাবরেটরি ক্লাস আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে অনলাইনে ক্লাস চললেও আবাসিক হল খোলা রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। একই কারণে সশরীরে ক্লাস বন্ধ রেখেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ও। তবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার শর্তে সশরীরে ক্লাস ও হল খোলা রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে।