ফরিদপুর শহরে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে হোস্টেলের সামনে থাকা বিশাল আকারের মেহগনি ও বকুলসহ কয়েকটি গাছ কেটে নিয়ে গেছে প্রভাবশালী মহল। শুক্রবার সকালে কয়েকটি ভ্যানে করে ঢেকে গাছের গুঁড়িগুলো নিয়ে যায় কলেজের কয়েক কর্মচারী। সূত্র বলছে, বেশ কয়েকটি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার পর গাছের গোড়া মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হলে তিনি গাছ কাটার বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না বলে জানান। সরকারি কলেজের গাছ কাটার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গতকাল শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, কলেজের পূর্ব পাশের হোস্টেলের সামনে থাকা চারটি মেহগনি গাছের মাথা কাটা এবং ডাল ছাঁটা। এছাড়া পশ্চিম পাশের একটি গাছের বিশাল আকারের ডাল কেটে ফেলা হয়েছে। আরও কয়েকটি গাছের ডাল কাটার প্রস্তুতি চলছিল। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কলেজের কয়েক কর্মচারী ও গাছ কাটার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তারা কৌশলে সটকে পড়েন। একজন সিকিউরিটি গার্ড জানান, সকালে তিনটি ভ্যানে করে গাছের বড় কয়েকটি অংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কলেজের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, হোস্টেলের সামনে লাইট লাগানো হচ্ছে। গাছের ডালগুলোর কারণে আলো ঠিকমতো দেখা যায় না বিধায় প্রিন্সিপাল স্যার বলেছেন, ডালগুলো কেটে দিতে। তাই ডালগুলো কাটা হয়েছে। ডাল না কেটে গাছের বড় অংশ কেটে নেওয়ার কারণ কি এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, এগুলো মেহগনি গাছের ডাল। অথচ দেখা গেছে, মেহগনি গাছের বড় কয়েকটি অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। কলেজের হোস্টেল সুপার মো. আজগর আলী বলেন, আমি সারাদিনই কলেজে ছিলাম। গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানি না। তবে গাছের কিছু ডাল কাটা হয়েছে বলে শুনেছি। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী গোলাম মোস্তফা জানান, গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কাউকে কিছু বলেননি। তাছাড়া গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।