জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক স্কুলছাত্রীকে তাদের বাড়িতে ঢুকে যৌন নির্যাতন করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে প্রধান অভিযুক্ত ও তাঁর ছয় সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে নির্যাতনের অপমান সইতে না পেরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ছাত্রীটি। তাকে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার তুলশীগঙ্গা ইউনিয়নের একটি গ্রামে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গত মঙ্গলবার দুপুরে ও রাতে ঘটনা দুটি ঘটে। এই ঘটনায় গতকাল বুধবার ক্ষেতলাল থানায় মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ক্ষেতলালের ধনকুড়াইল গ্রামের প্রধান অভিযুক্ত মাদরাসাছাত্র শিহাব হোসেন (১৮) এবং তাঁর ছয় সহযোগী ধনকুড়াইলের জহুরুল ইসলাম (১৯), ইসলামপুর গ্রামের মোমিন (১৮), রামপুরা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (১৯), লিটন হোসেন (১৮), সূর্য্যবান গ্রামের ইমন হোসেন (১৮) ও আটিগ্রামের সাজ্জাদুল ইসলাম (১৯)।
পরিবার, গ্রামবাসী ও পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে শিহাব নবম শ্রেণির ছাত্রীটিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। এরপর থেকে প্রায়ই শিহাব ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করতেন। এতে ছাত্রীর অভিভাবকরা ইটাখোলা এলাকায় বাদ দিয়ে বাড়ির পাশেই প্রাইভেট পড়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে যাতায়াতের সময়ও শিহাব তাকে উত্ত্যক্ত করতেন।
এতে অভিভাবকরা প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করে দিলে ছাত্রীটি বাড়িতেই পড়ালেখা করছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রী বাড়িতে বোরো ধান সিদ্ধ-শুকানোর কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ শিহাব ছয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রীটিকে পরিবারের সামনে লাঞ্ছিত করে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ছাত্রীর চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে অভিযুক্তদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদের আটক করে।