যশোরের মণিরামপুরের একটি মাদরাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক পদের চাকরি দেওয়ার নামে একজন প্রার্থীর কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে। ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে মণিরামপুরের দূর্বাডাঙ্গা বাটবিলা দাখিল মাদরাসার সভাপতি মিজানুর রহমান ও সুপার মোশারফ হোসেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে চাকরি প্রত্যাশী মো. কামরুজ্জামান। যদিও এখন সরকারিভাবে সহকারী গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগারিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। এ পদটির নাম ও মর্যাদা বদলে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহাকারী শিক্ষক করা হয়েছে।
সম্প্রতি ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন নিয়োগ প্রত্যাশী কামরুজ্জামান। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত শুরুর করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকারকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযোগ তদন্তের জন্য মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মাদরাসার সুপার মোশারফ হোসেন ও অভিযোগকারীকে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে তলব করে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশের সাড়া দেননি মাদরাসার সভাপতি মিজানুর রহমান ও সুপার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মাদরাসার সভাপতি ও সুপার সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেবল কামরুজ্জামানের কাছ থেকেই টাকা নেননি, একই পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকার একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে দূর্বাডাঙ্গা বাটবিলা দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে মাদরাসার সুপার মোশারফ হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মাদরাসার সভাপতি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার হাজির হননি। এছাড়াও বাদির উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এতেই শেষ নয়। শুনানির জন্য পরবর্তীতে আবারও নোটিশ দেওয়া হবে তাদেরকে।