শিক্ষিতরা শিক্ষকতায় আসুক - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষিতরা শিক্ষকতায় আসুক

এ এফ এম কামরুল হাছান |

সময়ের সাথে সাথে বিশ্বজুড়ে শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিনিয়ত রূপান্তর হচ্ছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তরের যুগটি হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ, অর্থাৎ রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ন্যানো টেকনোলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বায়োটেকনোলজি, ইন্টারনেট অফ থিংস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট অফ থিংস, ডিসেন্ট্রালাইজড কনসেনসাস, পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস প্রযুক্তি, থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের উদীয়মান প্রযুক্তির যুগান্তকারী যুগ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

এর আগে বিশ্বজুড়ে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তর ঘটেছিল রেনেসাঁ-পরবর্তী আধুনিক শিল্প বিপ্লবের যুগে। মুলত ইউরোপে শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ করার উদ্দেশে সেই সময়ে আচরণবাদী শিখন শেখানো দৃষ্টিভঙ্গিতে গণশিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, যা ছিল মুখস্থনির্ভর সাক্ষরতা অর্জনের, যেখানে শিক্ষার্থীর নিজস্বতার তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি।

আচরণবাদ অনুযায়ী শিক্ষার্থীর কাঙ্ক্ষিত শিখন নিশ্চিত করার জন্য বলবর্ধক বা শাস্তি প্রদান করতে হয়। শিক্ষার্থী কী শিখবে, কীভাবে শিখবে, কখন শিখবে, কোথায় শিখবে, কেন শিখবে তা আগে থেকে ঠিক করে দিতে হয় এবং এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নিজস্ব চিন্তা, পছন্দ বা দৃষ্টিভঙ্গির তেমন কোন গুরুত্ব থাকে না। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীর শিখন কখন, কীভাবে কিংবা কতবার আচরণ দিয়ে প্রকাশ পাবে এবং সেগুলো কীভাবে পরিমাপ করে শিক্ষার্থীর শিখনকে মূল্যায়ন করা হবে তাও আগে থেকে ঠিক করা থাকতে হয়। আচরণবাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির ফলেই মুখস্থনির্ভর, লিখিত পরীক্ষাভিত্তিক ও নম্বরভিত্তিক মূল্যায়ন, শিক্ষককেন্দ্রিক, একমুখী, তত্ত্বনির্ভর একটি শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার প্রচলন ঘটে। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের মূল দায়িত্ব হল জ্ঞান বিতরণ করা এবং শিক্ষার্থীর প্রধান দায়িত্ব হল সেই জ্ঞান কোনরূপ পরিবর্তন ছাড়া মুখস্থ করে পুনরুৎপাদন করা যা শিক্ষার্থীর সৃষ্টিশীলতার পরিপন্থি। 

বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য শুধু জ্ঞান অর্জনই যথেষ্ট নয়। অর্জিত জ্ঞানকে পরিবেশ অনুযায়ী অভিযোজনের জন্য প্রয়োগ করার দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করাও জরুরি। কাজেই কোনো পূর্বনির্ধারিত আচরণ হুবহু অর্জন করা শিখনের উদ্দেশ্য নয় বরং শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিবেশের অবিরাম মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে তার বৈশিষ্ট্য ও পারদর্শিতা এবং পরিবেশের উপাদান উভয়ের মধ্যেই পরিবর্তন ঘটে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থী পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ অর্জনে সক্ষম হয়। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ উপযোগী পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিতে পারদর্শি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষাক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী আমাদের শিশুরা জ্ঞান মুখস্থ করার বদলে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবে। শিক্ষক এক্ষেত্রে জ্ঞান বিতরণকারীর ভূমিকায় না থেকে সহায়ক বা মেনটরের ভূমিকা পালন করবেন। এই শিখন শেখানো প্রক্রিয়ার ধারণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা প্রকল্পভিত্তিক বা সমস্যাভিত্তিক শিখনের চর্চা করবে। আর নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা না করে সহযোগিতামূলক শিখনের চর্চা করবে। যা শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত সক্ষমতা ও চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে শিক্ষার্থী কী শিখবে, কীভাবে শিখবে, কখন শিখবে, কোথায় শিখবে এবং কেন শিখবে তা তার নিজের পছন্দ ও পারদর্শিতা বিবেচনা করে নির্ধারিত হবে।

তাছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল টেকনোলজির প্রয়োগ মানুষের শিখনের ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে পুরোপুরি। এর ফলে মানুষ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে জ্ঞান বা তথ্য মুখস্থ করে ধারণ করে না, বরং বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য যাচাই, সংশ্লেষণ ও বিশ্লেষণ করে নতুন জ্ঞান ও দক্ষতা সৃষ্টির মাধ্যমে জ্ঞানক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতার আলোকে তা পূরণ করে সমস্যা সমাধানের নতুন কৌশল বের করার চেষ্টা করে।

এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের শিখনের ক্ষেত্রে ব্যক্তি ̄স্বাধীনতা এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ স্থাপন করার ভিত্তিতে সংযোগবাদ নামে এক নতুন শিখন ধারণার উদ্ভব ঘটেছে।

শিক্ষাক্রম রূপরেখায় সামাজিক গঠনবাদভিত্তিক এবং সংযোগবাদকে প্রধান শিখন ধারণা ও প্রায়োগিক কৌশল হিসেবে অনুসরণ করা হয়েছে, যার মূল ভিত্তি হচ্ছে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন। অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনে শিক্ষার্থীদের যেসব প্রক্রিয়া ও কৌশল চর্চার সুযোগ রাখা হয়েছে তা হলো : আনন্দময় শিখন, পঞ্চ-ইন্দ্রিয়ের সমন্বিত ব্যহারের মাধ্যমে ও কাজভিত্তিক বা হাতে কলমে শিখন, প্রজেক্টভিত্তিক, সমস্যাভিত্তিক এবং চ্যালেঞ্জভিত্তিক শিখন, সহযোগিতামূলক শিখন, অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন, একক, জোড়া এবং দলীয় কাজসহ স্বপ্রণোদিত শিখনের সংমিশ্রণ, বিষয়নির্ভর না হয়ে প্রক্রিয়া এবং প্রেক্ষাপটনির্ভর শিখন, অনলাইন শিখনের ব্যবহার ইত্যাদি।

শিক্ষাক্রম রূপরেখায় অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনকে ফলপ্রসূ করতে শিক্ষকের ভূমিকাকেও স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। রূপরেখার অভিজ্ঞতামুলক শিখন পদ্ধতিতে শিক্ষক একজন সহায়তাকারী এবং শিক্ষার্থী সক্রিয় অংশগ্রহণকারীর ভূমিকা পালন করবেন। শিক্ষক শিক্ষার্থীর আগ্রহ, প্রবণতা, সবলতা বিবেচনা করে বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের বাইরে অভিজ্ঞতামুলক শিখনে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী যেমন একা শিখতে পারে, তেমনি জোড়ায় ও দলীয়ভাবেও শিখতে পারেন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন পর্যায় ও স্তরের শিখন শেখানো কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। আনন্দের সঙ্গে জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি ও চেতনার উন্নয়ন ঘটাতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত শিখন শেখানো কৌশল প্রধানত খেলা ও কাজভিত্তিক হবে যা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খেলা ও কাজের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে শিখনে অংশগ্রহণ করবে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিখন-শেখানো কৌশলের পরিসর হবে খেলা ও হাতে-কলমে কাজের পাশাপাশি অনুসন্ধানমূলক ও সমস্যা সমাধানমূলক শিখন। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিখন-শেখানো কৌশল বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন শেখানো কৌশলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উঁচুস্তরের চিন্তন দক্ষতা অনুশীলনের ব্যবস্থা থাকবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিখন-শেখানো কৌশল বাস্তবায়নে প্রতিটি বিষয়ের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষকের ব্যবস্থা থাকবে এবং শিখন-শেখানো কৌশল হবে বিশেষত অভিজ্ঞতাভিত্তিক যেখানে শিখন-শেখানো কৌশলে প্রয়োজন ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী হাতে কলমে শিখন, প্রজেক্ট এবং সমস্যাভিত্তিক শিখন, সহযোগিতামূলক শিখন, অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন, স্ব প্রণোদিত শিখনের সংমিশ্রণ ব্যবহার করা হবে, পাশাপাশি অনলাইন শিখনের ব্যবহারও উৎসাহিত করা হবে।

প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল শিক্ষাব্যবস্থায় বাড়ির কাজ বা হোম ওয়ার্ক না দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে বিদ্যালয়েই তাদের শিখন সম্পন্ন করতে পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। তবে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের অংশ হিসেবে প্রকল্পভিত্তিক শিখন বা এসাইনমেন্ট জাতীয় কাজ প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়িতে বা সামাজিক পরিসরে অনুশীলনের ব্যবস্থা থাকবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরখো ২০২১ পর্যালোচনা করলে যে চিত্র দেখা যায় সে তুলনায় বাংলাদেশে শিক্ষা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকতা পেশায় বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হয়। আমাদের দেশের ৯৫ ভাগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সরকারের অনুদান ভিত্তিক এমপিও নীতিমালার আওতায়, এ কারণে এখানে শিক্ষিত শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান না, যারা আসেন তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন বৈষম্যের কারণে হীনমন্যতায় ভুগছেন। রাষ্ট্রও এই পেশার ব্যাপারে উদাসীন।

তবে আশার বাণী এই যে, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণের দিকে নিয়ে আসছেন ধীরে ধীরে। ইতোমধ্যে ছয় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত শিক্ষকগণকে জাতীয়করণের আওতায় এনেছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হৃৎপিন্ড গ্রন্থাগারে নিয়োজিত শিক্ষায়তনিক (স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা) গ্রন্থাগার পেশাজীবীদের দীর্ঘ ৪০ বছরের শিক্ষক মর্যাদার দাবিটি মুজিব শতবর্ষে এসে আলোর মুখ দেখেছে। করোনার দুঃসময়েও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামোতে সরাসরি গ্রন্থাগার প্রভাষক ও সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) অন্তর্ভুক্ত করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। 

একজন গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে আমি কিংবা আমাদের ভাবা উচিৎ, আমাদের উপর মহান দায়িত্ব অর্পণ হয়েছে, তাই নিজেদের মেধা ও দায়িত্ববোধ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে। সেই কাজটি করতে পারলেই নিজেকে শিক্ষক ও শিক্ষক দিবসের সার্থকতার সাথে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত মর্যাদা লাভের সুযোগ পাওয়া যাবে। আমাদের প্রচেষ্টায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রজন্মের বুনিয়াদি শিক্ষার ভিত আরও শক্তিশালী যদি না হয়, তাদের যথেষ্ট মেধা না থাকে, আমরা যদি তাদের সময়োপযোগীভাবে গড়তে ব্যর্থ হই, তাহলে শিক্ষক হিসাবে আমাদের প্রতিষ্ঠা যুক্তিযুক্ত হবে না।

লেখক: এ এফ এম কামরুল হাছান, সভাপতি, বাংলাদেশ বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সমিতি

 

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039920806884766