রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে বকশিস না দেওয়ায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তার অসুস্থ বাবাকে লাঞ্ছিত করে ওই হাসপাতালের হাবিব নামে এক ওয়ার্ড বয়। এ সময় মুঠোফোনে ভিডিও করার সময় তা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে হাবিব। ২৮ এপ্রিল করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিউ) এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী বলেন, গত ২৬ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে বাবাকে হৃদরোগের সিসিইউ-১ এর বি-১৬ নং বেডে ভর্তি করাই। গেটে ঢুকা থেকে শুরু করে হুইল চেয়ারে ওয়ার্ডে নিয়ে আসা পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই কর্মচারীরা চা-নাস্তার নামে টাকা দাবি করেন। গত ২৮ এপ্রিল বাবাকে রিলিজ দেওয়া হলে প্রেসক্রিপসন দেওয়ার নামে ৩জন ওয়ার্ড কর্মচারী টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে আপত্তি জানালে হুট করে হাবিব নামে এক কর্মচারী এসে আমাদের উপর চড়াও হন। এ সময় আমি ফোনে ভিডিও করতে চাইলে তিনি মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
এ সময় উপস্থিত ঐ ছাত্রীর বন্ধু সাজেদুল বলেন, আমরা শেকৃবির স্টুডেন্ট পরিচয় দিলে আরো ক্ষিপ্ত হোন। আমরা পরিচালকের কাছে জানাব বললে হাবিব বলে- জাহান্নামে যা। বারবার বলতে থাকে-যা যা, যা করার করিস।
ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী আরও বলেন, এর আগে গত ১০ মার্চ আমার মা হৃদরোগের সিসিউতে মারা যায়। তখনও গেটম্যান, কর্মচারীরা টাকার জন্য হয়রানি করেন। দুই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।
অভিযুক্ত হাবিব এ ঘটনার সাথে জড়িত না দাবি করে বলেন, আমরা এ ধরনের আচরণ করতে পারি না। কালকে আমাদের এক স্টাফের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে সমাধান করে দিছে। ফোন ছুড়ে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তাকে ভিডিও করতে না করে হয়েছিল। মোবাইলে হাত দেয়া হয় নাই।
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমরা হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের পরিচালকের অনুপস্থিতিতে উপ-পরিচালকের সাথে কথা বলেছি। আমরা লিখিত অভিযোগ জানাব।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমত পরিচালককে লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে। আমাদের কাছে জানালে আমরা ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিব।
ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, গতকাল এরকম ঘটনা ঘটেছে সেটা আমাকে জানানো হয় নাই। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যাবস্থা নিবো।