চ্যাটজিপিটি শ্রেণিকক্ষের বিকল্প নয় - দৈনিকশিক্ষা

চ্যাটজিপিটি শ্রেণিকক্ষের বিকল্প নয়

মাছুম বিল্লাহ |

আমাদের শেখা ও শেখানোর পদ্ধতি এখন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে এবং অবাধ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। চ্যাটজিপিটি হচ্ছে প্রযুক্তির আর একটি মডেল যা বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি একটি বৃহৎ ভাষা মডেল। চ্যাটজিপিটি মানুষের ভাষার বিশাল ডেটা সেটের ওপর প্রশিক্ষিত। এতে ভাষা ও বক্তব্যের ধরন শনাক্তে বিপুল পরিমাণ তথ্য ইনপুট করা আছে। ফলে এটি ব্যবহারকারীর প্রশ্নের অর্থপূর্ণ জবাব দিতে পারে। চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর দেয়া, তথ্য সরবরাহ করা, পাঠ্য তৈরি করা এবং বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথনে জড়িত হওয়া সম্ভব। এটি একটি কথোপকথন এ আই মডেলের উদাহরণ যা চ্যাটের মতো ফরম্যাটে মানুষের ইনপুটগুলো বুঝতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (এনএলপি) এবং মেশিন লার্নিং কৌশলগুলো ব্যবহার করে।

এই প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের নতুন সরঞ্জাম এবং পদ্ধতিগুলো অন্বেষণ করার সুযোগ দেয় যা তাদের গবেষণা দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। শিক্ষাখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে এই চ্যাটজিপিটি এবং বলা যায়, ইতোমধ্যে বিষয়টি শুরু হয়ে গেছে। এটি বদলে দিতে পারে ব্যক্তিগত শেখার অভিজ্ঞতাও। চ্যাটজিপিটির অন্যতম একটি সক্ষমতা হচ্ছে এটি ব্যবহার করে যে কেউ তার নিজের প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো কিছু শিখতে পারে। ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীর সক্ষমতা ও দুর্বলতার জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে এবং সে অনুসারে পাঠ তৈরি করে নিতে পারবে। এটি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শেখার ধরন, গতি ও অগ্রাধিকার ধরতে পারবে। ফলে শিক্ষার্থীরা কোন বিষয় আরো সহজ ও কার্যকরভাবে শিখতে পারবেন। এই টুল যেহেতু যেকোনো বিষয়ে আলাদা ফিডব্যাক দিতে পারে, তাই কোন বিষয়ে ভুল ধারণা থাকলে সেটিও সহজে ধরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

চ্যাটজিপিটি শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখে চলেছে। আমরা জানি বড় এবং বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে যে শ্রেণিকক্ষ সেখানে শিক্ষকরা সঠিক পাঠদান করতে সমস্যায় পড়ে যান। আমার ব্যক্তিগত শিক্ষকতা জীবনেও দেখেছি বিষয়টি। আমি যখন ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট কলেজে শিক্ষকতা শুরু করি তখন ইংরেজি ক্লাসগুলো হতো বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি হলরুমে ২৫০ বা তারও অধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে। ওই  অবস্থায় পড়ানোর চেয়ে ডিসিপ্লিসন মেইনটেন করাটাই ছিলো বড় বিষয়। উপরন্তু এটি ছিলো ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যেখানে নিয়মানুবর্তিতাই হচ্ছে বড় কথা। তখন চ্যাটজিপিটি তো দূরের কথা, মোবাইলই আসেনি আমাদের দেশে। কিন্তু এখন এ ধরনের ক্লাসে শিক্ষকরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া, মার্কিং করা, উত্তরপত্র যাচাইসহ অনেক কিছুই করতে পারেন। তবে, সব প্রতিষ্ঠানে এটি করা সম্ভব নয় আর শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিকল্প কিন্তু চ্যাটজিপিটি নয়। চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের শেখানোর পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে পারবেন অর্থাৎ ফিডব্যাক নিতে পারবেন আর ফিডব্যাক নেয়া ও দেয়া শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য দিক।

চ্যাটজিপিটির উল্লেখযোগ্য সুবিধার মধ্যে একটি হচ্ছে বাস্তব বিশ্বের কথোপকথন থেকে শেখা এবং বিভিন্ন প্রসঙ্গ ও ভাষার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা। এর মানে হলো, এটি বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে যোগাযোগের সুবিধা দিতে পারে। আন্তসাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীর প্রশ্নের তাৎক্ষণিক ও পার্সোনালাইজড প্রতিক্রিয়া দিতে পারে চ্যাটজিপিটি। ফলে এটি তথ্য বা সহায়তা চাওয়া ব্যক্তির জন্য চমৎকার একটি মাধ্যম। চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো শিক্ষার্থী উচ্চ মানসম্মত শিক্ষা উপকরণে প্রবেশ করতে পারবেন। ফলে, আন্তর্জাতিকভাবে শিক্ষার্থীরা একটি ইউনিফর্ম প্লাটফর্মে শেখার সুযোগ পাবে, আর সারা পৃথিবীই হবে তখন একটি গ্লোবাল ক্লাসরুম। যেকোনো দেশের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের বা মতামত বিনিময়ের সুযোগ করে  দেবে এই চ্যাটজিপিটির ব্যবহার। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট প্রজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে এক দেশের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশের, অন্য কালচারের শিক্ষার্থীদের মতো বিনিময় ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।

চ্যাটজিপিটি গেমিফিকেশন এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ লার্নিয়ের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতাকে আরো আকর্ষণীয় এবং উপভোগ্য করে তুলতে পারে। গতানুগতিক ক্লাসরুমে চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সংযুক্ত করে শিক্ষার্থীদের আরো গভীর ও কার্যকরভাবে কোনো কিছু শেখানো সম্ভব। এতে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়া আরো আনন্দদায়ক হবে। শিক্ষার্থীদের চিন্তার সহায়ক হয়ে চ্যাটজিপিটি। তাদের আরো বিভিন্নভাবে উপকার করতে পারে।  কোনো বিষয়ে ব্রেনস্টর্মিং করা, নতুন আইডিয়া নিয়ে আরো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা কিংবা কোনো বিষয়কে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার ব্যাপারে চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীদের সাহায্য গ্রহণ করতে পারবে। ফলে শিক্ষার্থীদের যুক্তি তর্ক আরো তীক্ষ্ণ হবে এবং কোনো বিষয় ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অভ্যাস তৈরি হবে। চ্যাটজিপিটি বাস্তব দুনিয়ার বিভিন্ন জটিল সমস্যা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আরো গভীর ধারণ দিতে পারবে এবং শিক্ষার্থীরাও সে অনুসারে নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে পারবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেক্টরের কর্মজীবীদের সঙ্গে সংযুক্ত করার মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ারেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। চ্যাটজিপিটির অন্যতম একটি সক্ষমতা হচেছ, এটি ব্যবহার করে যে কেউ তার নিজের প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো কিছু শিখতে পারে। ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীর সক্ষমতা ও দুর্বলতার জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে এবং সে অনুসারে পাঠ তৈরি করে দিতে পারবে। ফলে কোনো বিষয় ভালোভাবে আত্মস্থ করাটা তূলনামূলক অনেক সহজ হবে। চ্যাটজিপিটি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শেখার ধরন, গতি ও অগ্রাধিকার ধরতে পারবে। ফলে শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয় আরো সহজ ও কার্যকরভাবে শিখতে পারবে। এই টুল যেহেতু যেকোনো বিষয়ে আলাদা ফিডব্যাক দিতে পারে, তাই কোনো বিষয়ে ভুল ধারণা থাকলে তা খুব সহজে ধরিয়ে দিতে পারবে এটি। চ্যাটজিপিটির সাহায্যে অবশ্য এটি এখনই সম্ভব, তবে ভবিষ্যতে হয়তো আরো ভালভাবে সম্ভব হবে।

ক্রিটিকাল থিংকিং বা কোনো বিষয়কে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশের জন্য কোলাবোরেটিভ বা সহযোগিতামূলক শিক্ষা অপরিহার্য। চ্যাটজিপিটি এখানেও ব্যবহৃত হতে পারে শিক্ষার্থীদের সূক্ষ। চিন্তন দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে। তা ছাড়া এটির ব্যবহার শিক্ষাদানকে আরো আনন্দময় করতে পারবে যদি এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়।

অনেক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও চ্যাটজিপিটির সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বিশেষ করে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয়তা, নিরাপত্তা এবং সামাজিক প্রভাবের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারের প্রভাব নেতিবাচক হতে পারে। এই প্রযুক্তি কাজ করার জন্য বিপুল পরিমাণে ব্যক্তিগত ডেটার ওপর নির্ভর করে যা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গোপানীয়তা লঙ্ঘন করার ক্ষেত্রেও কাজ করতে পারে। রয়েছে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে শেয়ার করা সংবেদনশীল তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ। এ ছাড়া এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো বা অন্যান্য ঘৃণ্য কার্যকলাপ ছড়িয়ে পড়ারও ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের উপায় পরিবর্তন করে চ্যাটজিপিটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিয়মগুলোকেও প্রভাবিত করতে পারে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন। কারণ, শিক্ষার্থীরা তাদের লেখালেখিতে সহায়তা করার জন্য সম্পূর্ণরূপে চ্যাটজিপিটির ওপর নির্ভর করবে। যেহেতু চ্যাটজিপিটি প্রাকৃতিক ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিতে পারে ও এসব জবাব অনলাইনে সংরক্ষণ থাকে না, ফলে শিক্ষার্থীদের নকল করার কোনো ঘটনা শিক্ষকদের জন্য ধরা বেশ দুরূহ হয়ে পড়বে।

এ ছাড়া, শিক্ষার্থীরা যদি চ্যাপটিজপিটি দ্বারা সবই করিয়ে নেন তাহলে তাদের নিজস্ব চিন্তন দক্ষতা মারাত্মকভাবে কমে পেতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, কোনো সমস্যা সমাধানে চিন্তা যা করার সেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা করে দেবে, চিন্তাকে প্রকাশ করার জন্য যে ভাষার প্রয়োজন হবে সেটাও সে আয়ত্ত করে নেবে। তার মানে হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের নিজস্ব চিন্তন ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়বে নতুবা একেবারেই প্রয়োজন হবে না, এটি একটি অশনিসংকেত। শিক্ষার্থীদের অ্যসাইনমেন্ট বা বাড়ির কাজ দেয়া হলে তারা সেগুলো চ্যাটজিপিটি দিয়ে করিয়ে নিবে এবং স্কুলে জমা দেবে। আবার পরীক্ষা দেয়ার আগে চ্যাটজিপিটিকে দিয়ে তৈরি নোট মুখস্থ করে খাতায় লিখে দেবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর যে জ্ঞানচর্চার তাগিদ, বাধ্যবাধকতা ও উৎসাহ সে বিষয়গুলো উবে যাবে। এভাবে শিক্ষাকে একটি আনন্দহীন কার্যকলাপে পরিণত করতে পারে ও ব্যক্তিক চর্চার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা ধরে রাখার বিষয়টিও থাকবে না বলে ধরে নেয়া যায়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান ওয়াল্টন ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায় যে, শ্রেণি কার্যক্রমের জন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষকরা বেশি মাত্রায় চ্যাটবট ব্যবহার করছেন। এই জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার দুজন শিক্ষক ও এক হাজার শিক্ষার্থীর  মতামত নেয়া হয়েছে। জরিপের তথ্যানুযায়ী, দেশটির ৫১ শতাংশ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছেন। আর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই হার ৩৩ শতাংশ। জরিপে দেখা যায়, অনুমতি ছাড়া চ্যাটজিপিট ব্যবহারের দায়ে শিক্ষার্থীদের তিরস্কার করছেন ১০ শতাংশ শিক্ষক। অন্যদিকে ৩৮ শতাংশ শিক্ষক তাদের শিক্ষার্থীদের এটি ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন। অর্থাৎ, তুলনামূলকভাবে প্রায় চারগুণ শিক্ষক চ্যাটজিপিটির প্রতি ইতিবাচক। জরিপে অংশ নেয়া ৫৯ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন, চ্যাটজিপিটিকে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, যা উপেক্ষা করা যাবে না। অন্যদিকে, ২৪ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন, প্রতারণার কাজে শিক্ষার্থীদের জন্য এই চ্যাটবট ব্যবহৃত হবে। ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, আরো ভালো ছাত্র হতে সহায়তা করতে পারে চ্যাটজিপিট এবং ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, দ্রততার সঙ্গে শিখতে সহায়তা করতে পারে এটি। এক্ষেত্রে ৭৩ শতাংশ শিক্ষক একমত পোষণ করেছেন। খান অ্যাকাডেমি চ্যাটজিপিটির সর্বশেষ ভার্সন জিপিটি-৪ ব্যবহার করে খান-মিগো বলে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে। সেখানে একজন শিক্ষার্থী যদি অঙ্কে ভুল করেন, তাহলে চ্যাটবট তাকে সাহায্য করে, বিজ্ঞানের বা ইংরেজির ক্লাসে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে শিক্ষককে পরামর্শ দেয় বা ইতিহাসের কোনো বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা চ্যাটবটের সঙ্গে বিতর্ক করতে পারে।

খান অ্যকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাল খান চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে বলেছেন, এটা আমাদের এ সুবিধা দিয়েছে যে, এখন আমাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থী একজন করে আলাদা শিক্ষক পাচ্ছেন এবং আমাদের প্রত্যেক শিক্ষক পাচ্ছেন এক বা একাধিক সহকারী। ইউনেস্কোর শিক্ষাবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক স্টেফানিয়া জিয়ান্নিনি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা মেশিন লার্নিয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং পরিবর্তনের গতির সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তরের গতিকে এক করার কাজ করছি।’ গ্লোবাল ভিলেজের নাগরিক হিসেবে চ্যাটজিপিটির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার আমরা ঠেকাতে পারবো না, আর এটি থেকে নিজেদের দূরে রাখাও সম্ভব হবে না। অতএব শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যবহার যতোটা সম্ভব ইতিবাচকভাবে করতে হবে আর সেজন্য শিক্ষকদের অধিকমাত্রায় সচেতন থাকতে হবে।  

লেখক: মাছুম বিল্লাহ, প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038859844207764