মাকে এগিয়ে নিতে এসে বরগুনার আমতলিতে এক মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক কামাল হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) পুলিশ ওই ছাত্রীর জবানবন্দি এবং গ্রেফতারকৃত কামালকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক জবানবন্দি শেষে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে গ্রেফকারকৃত কামালকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার গেন্ডামারা গ্রামের ওই ছাত্রীকে চন্দনতলা গ্রামের মোতালেব মুন্সির ছেলে কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। কিন্তু ছাত্রী তার প্রস্তাবে সারা দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয় কামাল। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর মা তার বাবার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী ফিরছিল। ওই ছাত্রী তার মাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যাচ্ছিল। এই সুযোগে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে কামাল তার পিছু নেয়। পথিমধ্যে নির্জন মাঠে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ওইদিন সন্ধ্যায় তালতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ অভিযুক্ত কামালকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার পুলিশ ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর জবানবন্দি ও গ্রেফতারকৃত কামালকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে।
ওই ছাত্রীর মা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘লম্পট কামাল মুন্সি প্রায়ই আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। কিন্তু আমার মেয়ে তার প্রস্তাবে সারা দেয়নি। বৃহস্পতিবার আমাকে এগিয়ে নিয়ে আসার সুযোগে একা পেয়ে মাঠে মুগডাল ক্ষেতে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এবং ধর্ষক কামালকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।