অবিলম্বে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেয়া ও শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন জতীয় শিক্ষক ফোরামের নেতারা। ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ বারবার পরিবর্তনের কারণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। তারা বই-পুস্তক এর পরিবর্তে শুধু গেমস নয় মাদকের দিকেও ধাবিত হচ্ছে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর অশনি সংকেত। ইতোমধ্যে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে মাঠে নেমে এসেছেন। অতএব, পরিস্থিতি অনুধাবন করে সমস্যা থেকে উত্তরণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কোন বিকল্প রাস্তা নেই।
২৮ মে (শুক্রবার) সকালে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর উদ্যেগে " সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেয়া ও শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের দাবীতে" আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, প্রতি বছর বাজেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
আবার যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা দূর্নীতির কারণে শতভাগ বাস্তবায়িত হয় না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, করোনাকালীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শিক্ষা খাত। শিক্ষাখাতকে রক্ষা করতে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।
আলোচনা সভায় জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, দেশের ৭ হাজার ইবতেদায়ী মাদরাসার ৩০ হাজার শিক্ষক নামেমাত্র বেতনে চাকুরি করছে যা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক। এজন্য দেশের সব ইবতেদায়ী মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা সময়ের দাবী।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
তিনি আরও বলেন, দারুল আরকাম মাদরাসার দু হাজার শিক্ষক দেড় বছর ধরে বেতন পান না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আব্দুস সবুর-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি হুমায়ুন কবির, ফজলুল হক মৃধা, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক নাসির উদ্দীন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আল আমীন, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান, সহকারি তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মহিউদ্দিন আকবর, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক এস এম মহিউদ্দিন মোল্লা, দফতর সম্পাদক প্রভাষক আমজাদ হোসেন আযমী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি এজহারুল ইসলাম, কওমি মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান বেতাগী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।