করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিশেষ পরিস্থিতিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই অধ্যাদেশ জারি হবে এবং এরপরপরই ফল প্রকাশ হবে। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত আইন রয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। সহসাই এটি জারি করা হবে।
প্রসঙ্গত ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে।
কিন্তু করোনাভাইসের কারণে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার।
গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মত এইচএসসি পরীক্ষাও এবার নেয়া যাচ্ছে না।
এর আগে দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাস দিয়ে ফল প্রকাশের পর আইনি জটিলতা এড়াতে শিক্ষা বোর্ড আইন সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অধ্যাদেশ জারির পর শিক্ষার্থীরা ফল পাবে। সংসদ অধিবেশন না থাকায় অধ্যাদেশ জারি করার কোনো বিকল্প নেই।
সম্প্রতি দৈনিক শিক্ষার ফেসবুক লাইভে ফল প্রকাশ পর কিছু আইনি জটিলতার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের সম্পাদক ও শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইরাবের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান খান। শিক্ষা বোর্ড আইনে বলা আছে, পরীক্ষা নিয়ে বোর্ড ফল প্রকাশ করবে। কিন্তু করোনার কারণে এবার পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই, ফল প্রকাশের পর আইনি জটিলতার মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, আইনি জটিলতা এড়াতে আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হবে। খুব শিগগিরই অধ্যাদেশ জারি হবে।
এদিকে বোর্ড থেকে জানা গেছে, ফল প্রকাশের নীতিমালার খসড়া বোর্ড থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত তা অনুমোদিত হয়ে এখনো বোর্ডে পৌছায়নি। তবে, শিগগিরই তা বোর্ডগুলোতে পৌঁছানোর কথা আছে।
অপরদিকে শিক্ষা বোর্ডগুলো এখনো টেবুলেশন শিটের ফরমেট হাতে পায়নি। অন্যান্য বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। তবে, আশা করা হচ্ছে টেবুলেশনের ফরমেটও খুব শিগগিরই বোর্ডগুলো হাতে পাবে।
গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে তা স্থগিত করা হয়ে।