জাপানের উচ্চশিক্ষার মান বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সারাবিশ্বেই তা গ্রহণীয় ও সমাদৃত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানে পাড়ি জমাচ্ছেন। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরাও পাচ্ছেন পড়াশোনার অনেক সুযোগ। এইচএসসি পাসের পর উচ্চশিক্ষার জন্য যারা বিদেশে যেতে আগ্রহী, তারা জাপানকে বেছে নিতে পারেন। জাপানে পড়াশোনায় প্রথম পছন্দ হওয়ার পেছনে রয়েছে এ দেশের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ।মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য-
একাডেমিক :
১. কমপক্ষে ১২ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা (এইচএসসি বা সমমানের)।
ভাষাগত যোগ্যতা : জাপানি ভাষার ওপর পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকতে হবে। কমপক্ষে ছয় মাসের জাপানি ভাষার কোর্স সম্পন্ন হতে হবে।
কোর্সের সময়সীমা : ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্য বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর সময় লাগে
মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য :
একাডেমিক : কমপক্ষে ১৬ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
কোর্সের সময়সীমা : মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে দুই বছর সময় লাগবে।
স্কলারশিপের সুবিধা : বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে বিভিন্ন স্কলারশিপ ও টিউশন ছাড়ের সুবিধা আছে। এ সুবিধার আওতায় সম্পূর্ণ বিনা খরচেই আপনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। সরকারি ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে। একজন শিক্ষার্থী এসব স্কলারশিপে জাপানে পড়াশোনা করতে পারেন। আবার সেখানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যেসব বিষয়ে পড়তে পারেন : হিউম্যান স্টাডিজ, ভাষাশিক্ষা, ইতিহাস, মানববিদ্যা, এডুকেশনাল সায়েন্স, ল অ্যান্ড সোসাইটি, পাবলিক ল অ্যান্ড পলিসি, ট্রান্সন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি, অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, জোতির্বিদ্যা, ভূপ্রকৃতিবিদ্যা, রসায়ন, ভূ-বিজ্ঞান, মেকানিক্যাল সিস্টেমস অ্যান্ড ডিজাইন, ন্যানোমেকানিকস, এডুকেশনাল ইনফরমেটিকস, পরিবেশবিদ্যা, এনভায়রনমেন্টাল লাইফ সায়েন্স, ফলিত তথ্যবিজ্ঞান, আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্পর্ক, এরিয়া স্টাডিজ, বায়োসায়েন্স ও বায়োটেকনোলজি, প্রাণবিজ্ঞান, কম্পিউটার অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স ইত্যাদি।
লেখক : ফারজানা আক্তার