পিরোজপুর সদর উপজেলার ৬৬নং খামকাঁটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক নিজে টিকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরই সে ‘শ্বাসকষ্টে’ অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে জেলা হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ্য শিশু মিম আক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মিম আক্তার দক্ষিণ খামকাঁটা এলাকার মনির হাওলাদারের মেয়ে।
পরিবারের সদস্যরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমা রানী মিত্র তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিম আক্তারকে রুমে ডেকে নিয়ে নিজেই একটি টিকা দেন। বাড়িতে ফিরে মিম প্রচন্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। পরে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাকে খুলনায় রেফার্ড করে। কি কারনে এমনটা করেছেন প্রধান শিক্ষত তা জানেন না পরিবারের লোকজন। তবে উদ্দিশ্য প্রনোদিত ভাবে প্রধান শিক্ষক এ কাজ করেছে বলে এ ঘটনার বিচার দাবী করেছেন পরিবারের লোকজন।
খুদে ছাত্রী মিমের খালা নুপুর আক্তার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রচন্ড জ্বর ছিলো মীমের। হাটা চলা করতে পারছিলো না, খাবার খেতে পারছিলো না। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে প্রধান শিক্ষক ম্যাডাম তাকে রুমে ডেকে নিয়ে জোড় করে একটা ইনজেকশন দেয় এতে সে অনেক ব্যাথাও পায়। আমরা এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে ম্যাডামের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানাই।
জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. নাজমীন আক্তার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিশুটির শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো। কিন্তু, নির্দিষ্ট কোন কারণ বোঝা যাচ্ছে না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মিম আক্তারের চাচা নুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মিম আক্তার খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত অবস্থায় আছে। তার শ্বাসকষ্ট এখনো আছে। তবে আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছে। ওর ডান হাতে লাল দাগ রয়েছে। ডাক্তার বলেছে অক্সিজেন চলবে বুধবার সকালে বোর্ড বসে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে এবং ওর সমস্যার বিষয়ে জানাবে।
তবে, ৬৬নং খামকাঁটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমা রানী মিত্র বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট কোন টিকা দেইনি।