ডিসি সম্মেলন, জনপ্রত্যাশা ও শিক্ষা উন্নয়নে প্রশাসনের পদক্ষেপ - দৈনিকশিক্ষা

ডিসি সম্মেলন, জনপ্রত্যাশা ও শিক্ষা উন্নয়নে প্রশাসনের পদক্ষেপ

মাছুম বিল্লাহ |

গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হলো তিনদিনের ডিসি সম্মেলন। করোনা মহামারির কারণে দু’বছর পর অনুষ্ঠিত হলো এই সম্মেলন। এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ২৬৩টি প্রস্তাব পাওয়া যায়। 

প্রতিটি জেলাকে এক একটি প্রদেশের সাথে তুলনা করলে বলা যায়, আমাদের জেলা প্রশাসকগণ এক ধরনের গভর্নর। তারা জনপ্রতিনিধি নন, অথচ পুরো জেলার সবকিছুর জন্য তাদের ওপর নির্ভর করা হয়। সরকারের গৃহীত সব ধরনের পদক্ষেপ তাদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। ব্রিটিশ প্রবর্তিত এই প্রথা দুইশ বছরের বেশি সময় ধরে টিকে আছে। শুধু টিকে নেই, বলা যায় আরও জোরদার হয়েছে। অথচ হওয়ার কথা ছিল এরকম যে, একজন জনপ্রতিনিধি একটি জেলার সার্বিক কল্যাণের দায়িত্বে থাকবেন আর একজন ডিসি তার সহকর্মীদের নিয়ে সে সিদ্ধান্তগুলো রাষ্ট্রপ্রদত্ত অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু তা হয়নি। কারণ একজন জনপ্রতিনিধি হয়তো একটি পার্টি থেকে নির্বাচিত হবেন। তার নির্বাচিত হওয়ার পর বাকিদের উন্নয়ন তো দূরের কথা, সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটাই হয়ে পড়ে কঠিন। তাই ব্রিটিশপ্রবর্তিত এই সিদ্ধান্তের ওপরই আমাদের আস্থা রাখতে হচ্ছে। নতুন কিছু আমরা করতেই পারলাম না।

আমলাতন্ত্র যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে জনগণের রাষ্ট্র থেকে সেবা পেতে কষ্ট হয় বটে, কিন্তু তাতে দুর্নীতির সুযোগ কম থাকে। যেমন আমলাতন্ত্রের মূল আলয় হচ্ছে সচিবালয়। সেখানে পাকিস্তান আমলে এবং বাংলাদেশ হওয়ার পরও সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল অত্যন্ত সীমিত ও কঠিন। সে সচিবালয়ের সিদ্ধান্তকে অনেক ভয় করা হতো। নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হতো। নিয়মের বাইরে কোনো কিছু করতে সবাই ওই জায়গাটাকে ভয় পেত। তাই যুগে যুগে আমলাতন্ত্রকে হালকা করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতাবান করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি-বরং বেড়েছে দুর্নীতি। আর একধরনের জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে না হয় জনগণের সেবা পাওয়া সহজ, না হয় আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা জোরদার, যা দুর্নীতিকে সহজে তার প্রাচীরের মধ্যে ঢুকতে বাধা দিত। জেলা পর্যায়ে ডিসি অফিস ছিল সচিবালয়ের মতোই কঠিন। দিনে দিনে তা জনমুখী করার প্রচেষ্টার ফলে এখন যা হয়েছে, তাতে শুধু রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই নয়, এলাকার সব ধরনের প্রভাবশালীই এই ধরনের কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বসে; তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।

সমস্যাটা বেধেছে এখানেই। এখন না আছে আমলাতন্ত্র, না আছে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্ব। তাই কে কোনটি করবেন বা কার কতটুকু করণীয় এ নিয়ে সব বিষয় ঘোলাটে হয়ে আছে। এলাকার স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগ হবে, প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগ হবে। প্রয়োজন ছিল সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত একজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া, প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া। কিন্তু আমাদের সংসদ সদস্যগণ উপযুক্ত কোনো শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ যাতে নিয়োগ না হয় এবং তাদের নির্ধারিত লোকদের যাতে নিয়োগ দেয়া হয় সে প্রচেষ্টার সবটাই করে থাকেন। ফলে যা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকার নিরীহ লোকজন সবাই চান যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো কমিটিতে যাতে কোনো জনপ্রতিনিধি না থাকে, বরং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিংবা জেলা প্রশাসকগণ থাকেন, তাতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা তাদের জন্য অনেকটাই সহজ হয়। কারণ ওই ধরনের পাবলিক রিপ্রেজেন্টেটিভদের থেকে  মাঠ পর্যায়ের এসব আমলাদের সাধারণ মানুষ ঢের পছন্দ করেন, তাদের ওপর নির্ভর করা তারা অনেকটাই নিরাপদ মনে করেন। তারই অংশ হিসেবে স্বচ্ছতা ও জবাবাদিহি নিশ্চিত করতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘নিয়োগ পুল’ গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে। বেসরকারি কলেজে অধ্যক্ষ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি রোধ করার জন্যই এই প্রস্তাব। দৈনিক শিক্ষাডটকম-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, সাধারণ শিক্ষকগণ ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই দাবি করে আসছেন, মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে খসড়াও তৈরি করে রেখেছে। কিন্তু এমপিদের চাপে তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। জানা যায়, এবার সম্মেলেনে একজন জেলা প্রশাসক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সিন্ডিকেট এবং পরিচালনা কমিটিতে ডিসিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছেন। জেলা পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার সার্বিক সমন্বয়ের জন্য এটা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় আন্দোলন বা ধর্মঘটে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ডিসি সহায়তা দিতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন। 

নদীভাঙন এলাকায় শিশুদের ঝরে পড়া রোধে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ স্কিম ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছেন অন্য একজন ডিসি। উপজেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিটি গঠন করার কথা বলেছেন আরেকজন। উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা কমিটি নামে একটি কমিটি রয়েছে। তারা প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন। মাধ্যমিকে এ ধরনের কোনো কমিটি না থাকায় জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করেন উক্ত ডিসি। আমি শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা তাদের সহযোগীরা যেসব আচরণ প্রদর্শন করেন, তাতে অনেক প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষকে কান্না পর্যন্ত করতে হয়। আমি কথা বলে দেখেছি কমিটির নির্বাচনে অনেক প্রতিষ্ঠানপ্রধান ভয়ে ও আতঙ্কে কথা বলতে পারছেন না। এই অবস্থায় কীভাবে তারা একাডেমিক কার্যবালীতে মনোযোগ দেবেন? কাজেই বেসরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে ইউএনও ও ডিসিগণই যাতে থাকেন, সেই ব্যবস্থা করা উচিত। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কোনো জনপ্রতিনিধিকে এসব কমিটিতে কোনোভাবে ঢুকতে দেয়া ঠিক হবে না। তারা যখন সেই ধরনের বিশ^স্ততা অর্জন করতে পারবেন, তখন তাদের কমিটিতে রাখতে হবে।

জেলা প্রশাসকগণ তাদের সম্মেলনে এমন কোনো কিছু বাদ রাখেননি, যেগুলোর ওপর তাদের কর্তৃত্ব ফলানোর প্রস্তাব করেননি। একটি জেলার সব বিষয়ে, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, জমিজমা থেকে মাদক, খেলাধুলা থেকে মারামারি, নদী ভাঙন থেকে রাস্তায় কীভাবে বাস চলবে ইত্যাদি সব কিছুতেই ডিসিগণ তাদের সরাসরি অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করেছেন। আমার জানতে ইচ্ছে করে, তাহলে সংসদ সদস্যদের কী কাজ? শুধুই পার্টির বন্দনা করা? একজন সংসদ সদস্য যদিও আইনপ্রণেতা, কিন্তু তিনি তো তার এলকার প্রকৃত জনপ্রতিনিধিও। তারা কি এসব কথা সংসদে তুলে ধরেন না বা ধরলেও তাতে কি কোনো কাজ হয় না? সংসদ সদস্যগণ কি এগুলো নিয়ে কোনো চিন্তা করেন না? সবই ডিসিদের করতে হবে? আমরা ব্রিটিশ হটালাম, পাকিস্তান হটালাম--কিন্তু জনগণ ও দেশকে সেবা প্রদানে যে বাধা এবং বিপত্তি, সেগুলো তো দূও করতে পারিইনি, বরং বাড়িয়েছি। 

জেলাকোটাসহ অন্যান্য কোটার সুবাদে এখন অনেকেই প্রশাসন ক্যাডারের বড় বড় কর্মকর্তা। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই যতবড় পজিশন, তত সেবা কি জনসাধারণ পাচ্ছে? এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অনেকের ক্ষেত্রেই তিক্ত। তবে, ব্যতিক্রম অনেকেই আছেন, আর আছেন বলেই এতকিছুর মধ্যেও বৃটিশ প্রবর্তিত প্রশাসন ব্যবস্থা এখনও টিকে আছে। কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দেখেছি, তারা শুধু মুখিয়ে থাকেন কখন কোন প্রোগ্রামে স্ত্রী-পুত্রসহ বেড়াতে যাবেন অন্যের ওপর নির্ভর করে কিংবা সরকারি অর্থের অপচয় করে। বিশ^বিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষকদের কাছে শুনেছি, আমাদের অনেক কর্মকর্তা বিদেশে কোনো কোর্সে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। কারণ ছড়ি ঘোড়াতে তারা যত মজা পান, নিজেদের পড়াশোনার ব্যাপারে ততটা উৎসাহী নন। আর আন্তর্জাতিক কোনো ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতার যে অভাব, সেটা তো আছেই। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রমের মানোন্নয়নে উদ্যোগী হতে হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থায়  অনলাইনে বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে পাঠদান কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। অপেক্ষাকৃত দুর্গম এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। এসব কাজে শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও সংযুক্ত করা প্রয়োজন। 

একজন বিভাগীয় কমিশনার প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যাওয়ার সুযোগ চেয়েছেন। বর্তমানে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মিশনে পোস্টিং পেয়ে থাকেন। কিন্তু বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার সেখানে গিয়ে কী করবেন? আমাদের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা কি মনে করেন যে, তারাই সকল কাজের কাজী? 
কলেজ এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া পর্যন্ত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রতি আমার এক ধরনের বিশ্বাস ছিল; অনেক উঁচু আসনে দেখতাম তাদের। তার কারণও ছিল। প্রশাসন ক্যাডারের বেশ কিছু অফিসারের সাথে আলাপ-আলোচনা বা চলাফেরায় সে ধরনের একটি ধারণা জন্মেছিল যে, তাদের আইকিউ খুব শার্প, তাদের কথাবার্তা, আচার আচরণ, কাজ সবই অন্য যে কোনো ক্যাডার থেকে আলাদা। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যতিক্রম কিছু অফিসার ছাড়া অনেক উচ্চপদস্থ অফিসারদের কথা-বার্তা, আচার আচরণ দেখে সব ধারণা পাল্টে গেছে। এ ধরনের কর্মকর্তারা জাতির জন্য কী সেবা দেবেন, সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ। আর ইংরেজির যে ঘাটতি দেখলাম অনেক উচ্চপদস্থ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে, তাতেও ধারণা পাল্টে গেছে। আমাদের সেনা অফিসারগণ অবশ্য বিদেশি মিশনে ভালভাবেই পেশাগত দক্ষতা ও যোগাযোগ দক্ষতা প্রদর্শন করে আসছেন, যে কারণে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আমাদের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ যদি দেশের বাইরে সে ধরনের কোনো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেন, সেটি তো অবশ্যই প্রশংসীয় হবে। তবে তার জন্য সবার আগে দরকার দেশকে প্রকৃত অর্থে ভালবাসার উদাহরণ সৃষ্টি করা। শুধু বক্তৃতা দেয়া নয়। 

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, প্রেসিডেন্ট- ইংলিশ টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00736403465271