এনটিআরসিএর দ্বিতীয় চক্রের শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের ভুল তথ্য দেওয়ায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট একজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের তিনমাসের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে তিনিসহ মোট ১৩১জন প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
এমপিও হারানো প্রতিষ্ঠান প্রধান হলেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আখতারুজ্জামান। ঘোড়াঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুস সাত্তার সরকার এবং উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ধ্বীরাজ সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েও কয়েক হাজার প্রার্থী যোগদান ও এমপিওভুক্ত হতে জটিলতায় পড়েছিলেন। মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ, প্যাটার্ন জটিলতাসহ নানা সমস্যায় তারা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। এসব জটিলতার মূলে ছিলেন শূন্যপদের ভুল তথ্য পাঠানো প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ জুন জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিধান ছিল, এসব পদে নিয়োগে মন্ত্রণালয় আলাদা আদেশ জারি করবে। এ পদগুলো নবসৃষ্ট পদ নামে বহুল পরিচিত। এসব প্রতিষ্ঠান প্রধান আদেশ জারির আগেই ২য় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা হিসেবে সে পদগুলোকে শূন্য দেখিয়েছিলেন। ফলে, সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না।
সরকারি আদেশ জারির আগেই প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান নবসৃষ্ট পদে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা দিয়ে তথ্য প্রেরণ করে ছিলেন। ওই চাহিদা অনুযায়ী এনটিআরসিএ সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসেবে সাজু মিয়া নামের এক প্রার্থীকে সুপারিশ করেন। সুপারিশ পাওয়া সাজু মিয়া যোগদান করার পরেও দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না।