তেসরা নভেম্বর : ইতিহাসের কলঙ্কিত আরো এক অধ্যায় - দৈনিকশিক্ষা

তেসরা নভেম্বর : ইতিহাসের কলঙ্কিত আরো এক অধ্যায়

দুলাল আচার্য |

তেসরা নভেম্বর ইতিহাসের আরও এক কলঙ্কিত দিন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন, রাজনৈতিক সহচর জাতীয় ৪ নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র ৭৯ দিনের মাথায় এই হত্যাযজ্ঞ জাতিকে আবারো কলঙ্কিত করে। উল্লেখ্য, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি মোশতাক সরকার গ্রেফতার করে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার দুই সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান-এই জাতীয় ৪ নেতাকে। খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগদান এবং খুনি সরকারকে সহযোগিতায় তারা অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের চারজনকে বন্দি করা হয়। জাতীয় চার নেতা ছিলেন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরীক্ষিত রাজনৈতিক বন্ধু, সহচর। বঙ্গবন্ধুর পরেই এরা ছিলেন দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা এবং তেসরা নভেম্বরের জেলহত্যা একই সূত্রে গাঁথা। মূলত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই ৪৮ বছর আগে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে খুনিচক্র। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে এই চার নেতা বারবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৪৮-এর ১১ মার্চ বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূচনা করে মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মানুষকে বঙ্গবন্ধু ঐক্যবদ্ধ করে ধাপে ধাপে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করান। ’৪৮ ও ’৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ’৭০-এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। স্বাধিকারের এই আন্দোলনগুলোতে আমাদের জাতীয় এই চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা। 

দিনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। রাতের আঁধারে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে এই হত্যাকান্ডে প্রকাশ্য ভূমিকা ছিলো কতিপয় সেনা অফিসারের, যারা ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডেও যুক্ত ছিলো। 

কারাগার হলো যেকোনো মানুষের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপদ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্থান। সেই কারাগারেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঘাতকদল ব্রাশফায়ারে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এমন হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। বঙ্গবন্ধু এবং চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিলো একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় চার নেতাকে তার সরকারে যোগদানের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই ঘনিষ্ঠ সহচররা তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন। এ কারণে তাদের বন্দি করা হয়। রাজনৈতিক জীবনে জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর মতোই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। সারাজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন, অধিকার আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। কখনও অন্যায়ের কাছে আপস করেননি। 

জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার সাক্ষীদের বর্ণনায় জানা যায়, হাবিলদার মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের হত্যার উদ্দেশে যায়। প্রথমে তারা কারা কর্তৃপক্ষের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরে খন্দকার মোশতাক টেলিফোনে তার অভিপ্রায় ও সম্মতির কথা জানালে ঘাতক দলটি নির্বিঘ্নে এগিয়ে যায় নেতাদের সেলের দিকে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন আহমদ জেলখানার নতুন জেলের (নিউ জেল) ১ নং কক্ষে বন্দি ছিলেন। পার্শ্ববর্তী রুম থেকে অপর দুই জাতীয় নেতা এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে আনা হয় ১নং কক্ষে। চার নেতাকে একত্রিত করার পর খুব কাছ থেকে সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা মাথায় অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। গুলিতে তাজউদ্দীনের মৃত্যু না হলে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ঘাতকরা। ঘাতকদের কয়েক মিনিটের এই তান্ডবলীলা থেমে যাবার পর জেলখানায় নেমে আসে নীরব, নিস্তব্ধতা। চার নেতার বুকের তাজা রক্তে ভেসে যায় ১নং সেলের মেঝে। মাঝখানে নীরব, নিথর, প্রাণহীন অবস্থায় পড়ে থাকে বুলেটের আঘাতে তাদের ক্ষত-বিক্ষত দেহ। জানা যায়, সারারাত পাগলা ঘন্টা এবং একসঙ্গে গুলির শব্দের প্রচণ্ড আওয়াজে সমগ্র জেলখানা প্রকম্পিত হয়ে ওঠেছিলো। ঘাতকরা এই নির্মমতার মাধ্যমে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিলো। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিলো সমগ্র বিশ্ব।

জাতীয় চার নেতার প্রতি খন্দকার মোশতাকের চরম আক্রোশ ছিলো দীর্ঘ দিনের। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে নানা অস্থিরতার হোতাও এই খুনি মোশতাক। তবে কেবল মোশতাক তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ কিংবা প্রতিপক্ষকে হত্যা করে নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক করার জন্যই কেবল জেল হত্যা সংঘটিত করেছে এমনটি ভাবা ঠিক হবে না। এর পেছনে জাতিকে রাজনৈতিকভাবে মেধাহীন করা, নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি এবং ’৭১ এর পরাজিত শক্তির প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের একটা সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র ছিলো এটি। যে ষড়যন্ত্র চলে আসছিলো স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই। তেসরা নভেম্বরের জেলহত্যা সেই সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রেরই বাস্তবায়ন। ঘটনার ধারাবাহিকতায় খন্দকার মোশতাক অনেকটাই নিশ্চিত ছিলেন যে, আর মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তার শাসন ব্যবস্থার যবনিকা হতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার প্রচেষ্টার চেয়ে মোশতাক সংক্ষিপ্ত সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলো। কারণ, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তার ধারণা ছিল বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা দেশ ও জাতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। তারা পূরণ করতে পারবেন রাজনৈতিক শূন্যতা। এ জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশের মানুষ যেন এগোতে না পারে, একটি আত্মনির্ভরশীল, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে যাতে আর প্রতিষ্ঠা লাভ করতে না পারে তাই ছিলো খন্দকার মোশতাকের লক্ষ্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ’৭১ এ বুদ্ধিজীবী হত্যা, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং তেসরা নভেম্বর জেলহত্যা স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের ধারাবাহিক ধাপ যা পরবর্তী সময়ে জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া-নিজামীরা এগিয়ে নিয়ে গেছে অনেকদূর।

খুনি মোশতাক সমর্থিত সেনাশাসকদের প্রলোভনের ফাঁদে পা না দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে আমৃত্যু অনুসরণ করতেন আমাদের জাতীয় চার নেতা। ঘোর বিপর্যয়ের সেই সময়ে চার নেতার পরিবার হারায় তাদের সবচেয়ে ভরসার মানুষকে। জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যার পর কঠিনপথ পাড়ি দিতে হয় তাদের পরিবারকে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত-নির্যাতন সহ্য করতে হয় তাদের। ৭৫ খ্রিষ্টাব্দের পর সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার মতো জাতীয় চার নেতার সন্তানরাও লড়েছেন, নিজেদের গড়ে তুলেছেন যোগ্য সন্তান হিসেবে। বাবার উত্তরসূরি হিসেবে তাদের কয়েকজন রাজনীতির মাঠে প্রতিষ্ঠাও পেয়েছেন। এরজন্য তাদের নতুনভাবে সংগ্রাম করতে হয়েছে। এমনকি থাকার জায়গা পেতেও চরম কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন দেশের সার্বভৌমত্ব এনে দেয়া নেতাদের এই সন্তানরা। বাবাকে হারানোর বেদনা থাকলেও জাতীয় ৪ নেতার সন্তানরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা তার পরিবারের সঙ্গে বেঈমানি করেননি কখনও। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলে ছত্রভঙ্গ আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক কাঠামোর ওপর দাঁড় করানোর জন্য আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তাজউদ্দীনের স্ত্রী জোহরা তাজউদ্দীন। সেনাশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনিই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে মিলাদের আয়োজন করেন। রাজনীতির মাঠে সৈয়দ আশরাফ, মোহাম্মদ নাসিম, খায়রুজ্জামান লিটন ও সোহেল তাজদের মতো নেতৃত্ব শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের অনুসারী হিসেবে কাজ করেছেন, করছেন। জাতির পিতার দুই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাও চার নেতার সন্তানদের শ্রদ্ধা, স্নেহ ও ভালোবাসায় আবদ্ধ রেখেছেন।

দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকার্য শেষ হয়েছে, খুনিদের কারো কারো ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। জেলহত্যা মামলার বিচারকার্যও সম্পন্ন হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ়চিত্ত নেতৃত্বের কারণে। বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচারের মতো জেলহত্যা বিচারের মাধ্যমে মিথ্যার জাল ছিন্ন করে সত্য বেরিয়ে এসেছে। বিচার হয়েছে ব্যক্তি হত্যার। জেল হত্যাকাণ্ডের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কেউ কেউ এখনো পলাতক। বাঙালি জাতির ইতিহাসকে পুরোপুরি কলঙ্কমুক্ত করতে হলে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসমিসহ তেসরা নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হোক-এবারের জেলহত্যা দিবসে এটাই সকলের দাবি।

লেখক: সহকারী সম্পাদক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)

 

রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033419132232666