করোনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে একদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর খরচ বাড়বে অপরদিকে অভিভাবকদের আয় সাময়িক হলেও কমবে তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানাদিক ভাবতে হবে এখন থেকেই। আগের মতো গাদাগাদি করে শ্রেণিকক্ষে বসানো যাবে না। স্যানিটাইজেশন ও জ্বর মাপার যন্ত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে হবে স্কুল-কলেজগুলোকে। তাই দুই ধরণের অনলাইন পদ্ধতির শিক্ষাদান শুরু করার উদ্যোগ এখনই নিতে হবে। একটা করোনার কারণে সাময়িক অনলাইন পদ্ধতি ও আরেকটি চিরকালের জন্য কিছু বিষয়ে অনলাইন পদ্ধতিতেই যেতে হবে। এমন মতামত দিয়েছেন সাবেক শিক্ষা সচিব ও দৈনিক শিক্ষাডটকমের প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার (২০ মে) দৈনিক শিক্ষার নিয়মিত আয়োজন দুপুর বারোটার ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়ে তিনি আরো বলেন, করোনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নতুন নতুন বিষয় খুলতে বাধ্য করবে। বিশ্ববিদ্যলয়ের যেসব বিষয়ে প্রাকটিক্যাল কম সেসব বিষয়কে অনলাইনে দিয়ে দিতে হবে চিরকালের জন্য। আবার কিছু বিষয় রযেছে যাতে টেকনিক্যালয় বিষয় আছে যেগুলোর পুরোটা অনলাইনে করা যাবে না, সেগুলোকে করোনার কারণে সাময়িকভাবে হলেও অনলাাইনে যেতে হবে।
দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত লাইভে এন আই খান আরো বলেন, যারা শিক্ষকতায় আসবেন তাদেরকে আগে থেকেই বিএড, এমএড পড়ে আসতে হবে। অবশ্যই পেডাগজি জানতে হবে শিক্ষকদের। এমন পদ্ধতি চালু করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি বদলাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আবাসিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের দেশ হলেও আমাদের কোনো খাবার-দাবার নিয়ে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় নেই, পর্যটন নিয়ে বিশ্ববিদ্যলয় নেই।