চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জায়েদ সারোয়ার আলম মিশকাত নামের ৯ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন এক শিক্ষক। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে। গত বুধবার রাতে বোয়ালখালীর পূর্ব গোমদন্ডী নুরীয়া সিদ্দীকীয়া হাফেজখানা ও মীর ছমুদা এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রাতে শিশুটিকে পিটানো হলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি তার অভিভাবকেরা জানতে পারেন। দুপুরে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মিশকাত পূর্ব গোমদন্ডী শাহ মোহাম্মদ চৌধুরী পাড়ার প্রবাসী মুনছুর আলমের ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্যাতনকারী শিক্ষককের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।বোয়ালখালী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, খবর পেয়ে বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদন্ডী শাহ মোহাম্মদ চৌধুরী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. কাউছারকে (২১) আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটক শিক্ষক বাঁশখালী উপজেলার বইলছড়ি ইউনিয়নের গজারার বাড়ির আলী আকবরের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বোয়ালখালী থানায় গিয়ে দেখা যায়, মা বেবী আকতার ও আত্মীয়স্বজন মিশকাতকে নিয়ে থানা কমপাউন্ডের পাশে বসে আছেন। তার পিটে, হাতে, পায়ে, কোমরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। জ্বরে কাঁপছিল শিশুটি। গালও ফুলে গেছে। চোখে মুখে ভয়ের চিহ্ন। বার বার মাকে জড়িয়ে ধরছিল।
শিশু মিশকাত জানায়, এশারের নামাজের পর ঘুমাতে যায় সে। বিছানা পরিষ্কার করে ময়লাগুলো বাইরে ফেলতে আসলে শিক্ষক তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাস না করে বেত দিয়ে মারতে থাকেন। পরে জ্বর আসলে সকালে ওষুধ দেওয়া হয়।
শিশু মিশকাতের মা জানান, তার শিশু সন্তানটিকে কোরআনের পাখি বানাতে মাদরাসায় ভর্তি করান তিনি। এক বছর ধরে ওই মাদরাসায় পড়াশোনা করছে শিশুটি। বুধবার রাতে তার ছেলেকে মাদরাসা শিক্ষক বেধড়ক মারধর করে আহত করেন। তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার খবর পেয়ে মাদরসায় ছুটে গিয়ে দেখি সন্তানের অবস্থা। পরে তাকে নিয়ে আসতে চাইলে মাদরাসার শিক্ষকরা বাধা দেন। তবে জোর করে শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় সন্তানকে নিয়ে থানায় গেলে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. কাউছার বলেন, ছাত্রটি দুষ্টুমি করায় তার মাথা ঠিক ছিল না। তাই তাকে মেরেছেন। তবে এভাবে মারাটা তার উচিত হয়নি বলে জানান তিনি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।