তরুণ প্রজন্মকে দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে অন্যায়, অবিচার, শোষণ, নিপিড়নের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হয়। প্রতিবছর বিজয় দিবস আমাদের মনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়ে যায়। তরুণ প্রজন্মের উচিত লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ’
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর। সেসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলাম। আমি দেখেছি বর্বর পাকিস্তানিরা আমাদের উপর কী করেছে। আমাদের প্রতি তাদের কোন গুড ফিলিং ছিল না। তাদের সঙ্গে থাকলে আমরা হতাম তাদের গোলাম। আমরা হতাম ব্যর্থ রাষ্ট্রের ব্যর্থ প্রভিন্স। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের নতুন স্বপ্ন দিয়েছেন। নতুন জীবন দিয়েছেন। আমাদের ফিউচার দিয়েছেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিনির্মিত একটি দেশ। এটি কোন পরগাছা নয়। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকার ইতিহাস ৫০০ বছরের। আর আমাদের ইতিহাস ৩ হাজার বছরের ক্যানভাসে রচিত। এ দেশের সঙ্গে কেউ অন্যায় বা বেঈমানী করলে তা দেশের পরতে পরতে লেগে থাকা শহীদের রক্ত প্রতিবাদ করবে। কোন অন্ধকারের শক্তির স্থান বাংলাদেশে হবে না। তারা গর্তের জীব, গর্তের ভেতরেই তাদের যেতে হবে। ইসলামে নারীর পর্দার কথা বলা হয়েছে। পুরুষের পর্দার কথাও বলা হয়েছে। কারো যদি ভাস্কর্য পছন্দ না হয় তাহলে সেদিকে না তাকিয়ে চলে যান। আর যদি সেটাও না পারেন তাহালে কবি আব্দুল হাকিমের ভাষায় বলতে হয় আপনারা অন্য দেশে চলে যান। কারণ নিজ দেশে জন্ম নিয়ে যদি সেই দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি আপনাদের ভাল না লাগে তাহলে পছন্দের কোন জায়গায় চলে যাওয়াই শ্রেয়।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. নোমান উর রশীদ, ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষার্থীরা। এরআগে সকালে মহান বিজয় দিবসে উপলক্ষে সাভার স্মৃতিসৌধে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।