ধর্মঘটের পথে ইংল্যান্ডের শিক্ষকরা - দৈনিকশিক্ষা

‘সরকারের বেতন প্রস্তাব অপমানজনক’ধর্মঘটের পথে ইংল্যান্ডের শিক্ষকরা

মুরাদ মজুমদার, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার শঙ্কায় ধর্মঘটের পথে হাঁটছে ইংল্যান্ডের শিক্ষকদের বৃহত্তম সংগঠন ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন (এনইইউ)। তারা মনে করছে, সরকার এক বা দুই শতাংশের বেশি বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে না। তাই আসন্ন প্রস্তাবকে ‘অপমানজনক’ ধরে নিয়ে সদস্যদের ধর্মঘটের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এনইইউ।  

এজন্য স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ‘অপমানজনক’ বেতন বৃদ্ধি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সদস্যদের মতামত আহ্বান করেছে ইউনিয়ন। সদস্যরা এর পক্ষে মত দিলে তারা ধর্মঘটের পক্ষে আনুষ্ঠানিক ভোট গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান পত্রিকা।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের শিক্ষা বিভাগ বেতন বাড়ানোর বিষয়ে শিক্ষকদের বেতন পর্যালোচনাকারী একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কাছে মতামত জমা দেয়। কোনো নির্দিষ্ট বেতন বৃদ্ধির বদলে শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কিগান ওই প্যানেলকে এমন প্রস্তাব করতে বলেন যা স্কুলের বাজেটের জন্য ‘আরও টেকসই’ হবে। শিক্ষা বিভাগের দাবি, মতামত অনুসরণ করা গেলে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের ফলে শিক্ষকদের পেশা ছেড়ে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

তবে ওই মতামতের বিষয়টি প্রকাশিত হবার পর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের পদক্ষেপ নেয়া হলো। 

এ বিষয়ে এনইইউ এর প্রধান ড্যানিয়েল কেবেদে বলেন, গিলিয়ান কিগানের এই বছরের বেতন পর্যালোচনার পদ্ধতি অপমানজনক ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকার পরবর্তী বেতন পর্বে এক/দুই শতাংশের বেশি অফার করতে অনিচ্ছুক হবে। তাই আমরা আমাদের সদস্যদের সতর্ক করছি। শিক্ষকদের সঠিক বেতন ও অর্থায়ন প্রস্তাব নিশ্চিতে কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ন্যায্য বেতন শুধু একটি অনুরোধ নয়, এটি প্রয়োজন। স্কুলগুলো কর্মীদের সরবরাহের জন্য যথাযথ অর্থায়ন পাওয়ার অধিকারী। 

এ বিষয়ে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ হেড টিচার্স এর সাধারণ সম্পাদক পল হোইয়াইটম্যান বলেছেন, সরকারের বেতন নীতি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’। 

তবে শিক্ষা বিভাগের যুক্তি, গত দুই বছরে শিক্ষকদের বেতন গড়ে ১২ শতাংশ বেড়েছে। তাই নিম্ন মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাসের পাশাপাশি আগামী বছরে উল্লেখযোগ্য বেতন বৃদ্ধির প্রয়োজন কম।

তবে এনইইউসহ অন্যান্য শিক্ষক ইউনিয়নের দশ হাজার শিক্ষকের ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, শিক্ষক এবং স্কুল পরিচালকরা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের চেয়ে বেশি সময় কাজ করছেন। ৩৬ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষকতা ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করছেন। 

শিক্ষকতা ছাড়তে ইছ্ছুকদের মধ্যে শিক্ষা বিভাগ পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশিই বেতনজনিত কারণে পেশা পরিবর্তনে আগ্রহী। এ ছাড়া অনেকে চাপ ও অতিরিক্ত কাজের কারণে শিক্ষকতা ছাড়তে চান। আর যারা এ পেশায় থাকতে আগ্রহী তাদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ বর্তমান বেতন স্তরে সন্তুষ্ট।  

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ - dainik shiksha ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত - dainik shiksha টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.006072998046875