নতুন ৩৮ হাজারের যোগদানেও কাটছে না শিক্ষক সংকট - দৈনিকশিক্ষা

নতুন ৩৮ হাজারের যোগদানেও কাটছে না শিক্ষক সংকট

রুম্মান তূর্য |

বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তীব্র শিক্ষক সংকট দীর্ঘদিন ধরে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে গত দুই বছরে ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য হয়েছে। এ পদগুলো পূরণ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে।  করোনায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ফের সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরপর অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান বলছেন, তাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট নিরসনে গত বছরের জুলাই মাসে ৩৮ হাজার  আবেদনকারীকে বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। কিন্তু ৬ মাস পেরুলেও পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে তাদের যোগদান করানো সম্ভব হচ্ছিল না। শিক্ষক সংকটের বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ভেরিফিকেশন চলমান রাখা অবস্থায় যোগদান করানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন ৩৮ হাজার শিক্ষক যোগদানের পরও শিক্ষক সংকট থেকেই যাচ্ছে।

৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য :

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে সর্বশেষ শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে এনটিআরসিএ। সে বছরের হিসেব অনুযায়ী তখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় শিক্ষক পদ শূন্য ছিল ৫৪ হাজারের বেশি। তথ্য সংগ্রহের দীর্ঘ দুই বছর পর গতবছর অর্থাৎ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন নিবন্ধিত প্রার্থীর শিক্ষক পদে নিয়োগে প্রাথমিক সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। বাকি পদগুলো খালিই থাকছে। 

এদিকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষক শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের পর কেটে গেছে দুই বছরের বেশি সময়। এ সময়ে অনেক শিক্ষক অবসরে গেছেন। কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ না নেয়ায় এখনো শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করেনি এনটিআরসিএ।  তাই এ মুহূর্তে কত শিক্ষক পদ শূন্য আছে তার আনুষ্ঠানিক হিসেব নেই। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য। কিন্তু এনটিআরসিএ তথ্য সংগ্রহের আগে এ সংখ্যা আসলে কত তার পরিষ্কার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। 

৩৮ হাজার নতুন শিক্ষককে সুপারিশপত্র প্রকাশ আগামী সপ্তাহে :

এমন পরিস্থিতিতে গত জুলাই মাসে প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া ৩৮ হাজার নতুন শিক্ষককে যোগদান করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এনটিআরসিএর আবেদন অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসব প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও  শিক্ষক পদে পূর্ণ সুপারিশ বা যোগাদান প্রক্রিয়া পাশাপাশি চালানোর অনুমতি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট থাকায় ও প্রার্থীদের অনুরোধে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও যোগদান পাশাপাশি চালানোর আবেদন করেছিল এনটিআরসিএ। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরীন দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ অনুমতি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে মন্ত্রণালয় এনটিআরসিএ নিয়োগ সুপারিশের বিষয়ে কতগুলো শর্ত দিয়েছে। এরমধ্যে আছে, পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপত্তি বা কোনো বিরুপ মন্তব্য পাওয়া গেলে প্রার্থীর সুপারিশ বাতিল হবে এবং এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটলে এনটিআরসিএ তা মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রার্থীকে জানাবে। 

সে প্রেক্ষিতে আগামী সপ্তাহে সুপারিশ পাওয়া ৩৮ হাজার প্রার্থীর সুপারিশপত্র প্রকাশ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা। বুধবার সন্ধ্যায় এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবাইদুর রহমান জানান, প্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রকাশে আমরা টেলিটকের সাথে আলোচনা করছি। প্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রকাশ করার জন্য কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহে প্রার্থীদের সুপারিশ পত্র প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, সুপারিশপত্র প্রকাশের পর তা নিয়ে শিক্ষকরা নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদান করবেন। 

এদিকে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দ্রুত তাদের সুপারিশপত্র জারি করে তাদের যোগদানের ব্যবস্থা করার জন্য এনটিআরসিএর প্রতি দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে তারা তাদের যোগদান প্রভাবমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী শান্ত আলী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমরা দ্রুত যোগদান করতে চাই। তারা যত তাড়াতাড়ি সুপারিশপত্র প্রকাশ করবেন ততই মঙ্গল। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএর কাছে দাবি জানাবো, তারা যেন প্রভাবমুক্তভাবে প্রার্থীদের যোগদানের ব্যবস্থা করেন। প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যেন কোনো টাকা আদায় না করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আর যোগদান প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সাথে দ্রুত শেষ করা দাবি জানাচ্ছি।

নতুন ৩৮ হাজার শিক্ষক যোগদানের পরও সংকট থাকছে :

এদিকে ৩৮ হাজার শিক্ষক যোগদানের পরও সংকট থাকছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, গণবিজ্ঞপ্তি ও এমপিও নীতিমালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন করে নিয়োগের আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। এতে করে এ নিয়োগে অনেক ইনডেক্সধারী প্রার্থী (ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক) নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে বেকার নিবন্ধিতরা তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পাননি।  ইনডেক্সধারী অর্থাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নিজেদের একটি পদ খালি করে অপর একটি পদে নিয়োগ সুপারিশ নিয়েছেন। এতে করে একটি পদ শূন্যই থাকছে। এ পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক পদে নিয়োগ সুপারিশ করা হলেও শিক্ষক সংকট নিরসন হয়নি। আর বেকার নিবন্ধিতরাও নিয়োগ সুপারিশ পাননি। অনেক ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত অনেক শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ পেলেও সে পদে যোগদান করবেন না। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকা পদগুলো খালিই থাকবে। কোনো কোনো প্রার্থীর মতে প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া ৩৮ হাজার প্রার্থীর মধ্যে ১৮ হাজারই ইনডেক্সধারী। যদিও এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি এনটিআরসিএ। তবে কর্মকর্তারাও বদলি পদ্ধতির অভাব অনুধাবন করছেন। 

দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার মামুন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ গণবিজ্ঞপ্তিতে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন। তবে, তাদের মধ্যে দুইজন ইনডেক্সধারী ও একজন সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ায় যোগদান করতে চাচ্ছেন না। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি, বিজ্ঞান ও ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএতে চাহিদা দিয়েছিলেন। এ পদগুলোর একটি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে এবং ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে খালি হয়। কিন্তু যারা সুপারিশ পেয়েছেন তাদের মধ্যে দুইজন ইতোমধ্যে মাদরাসায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। আর অপরজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাই কেউই প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করতে চাচ্ছেন না। তাই তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদ পূরণ হচ্ছে না।

তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকরা ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত হওয়ায় তারা নিয়োগ সুপারিশ পেয়ে যোগদান করতে চাচ্ছেন না। কেউ বেসরকারি বেতন কত তা জানতে চাচ্ছেন, কেউ জানতে চাচ্ছেন কতজন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। এ পরিস্থিতিতে ইনডেক্সধারীদের সুপারিশ করে প্রতিষ্ঠানগুলোকেও হয়রানি করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি, বিজ্ঞান ও ধর্ম কে পড়াবেন তা জানেন না এ প্রধান শিক্ষক। তিনি দৈনিক আমাদের বার্তার মাধ্যমে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইনডেক্সধারীদের যেন নিয়োগ সুপারিশ না করা হয় সে দাবি জানিয়েছেন। এররকম অবস্থা দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানেরই। 

এদিকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ৫৪ হাজার শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের পর প্রায় আড়াই বছর পেরিয়েছে। এ সময়ে শিক্ষরা অবসরে যাওয়া ও মৃত্যুবরণ করায় অনেক পদ শূন্য আছে। আর ৫৪ হাজার পদে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সুপারিশ পেয়েছেন ৩৮ হাজার। এর মধ্য ৩২ হাজার প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পাঠিয়েছিলেন। সে হিসেবে আগের সংগ্রহিত প্রায় ২০ হাজার পদ শূন্য থাকছে। সার্বিক বিবেচনায় নতুন শিক্ষক যোগদানের পরও ৪০ হাজারের বেশি পদ শূন্য থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সংকট নিরসনে বদলি ব্যবস্থা চান ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা :
  
এদিকে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বলছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি পদ্ধতি চালু না হওয়ায় তারা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করছেন। ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ বন্ধ করতে বদলি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। শিক্ষকরা বলছেন, নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব এনটিআরসিএর হাতে আসার আগে ইনডেক্সধারীরা তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারতেন। দীর্ঘদিন দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরির পর নিজ জেলা বা উপজেলার প্রতিষ্ঠানে চাকরির আশায় তারা নিয়োগের আবেদন করেছেন। যারা বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন তারা যোগদান করবেন। তবে, যারা কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাননি তাদের অনেকে যোগদান করবেন না। শিক্ষকরা বলছেন বদলি পদ্ধতি চালু থাকলে তারা বদলি হতেন, নিয়োগের আবেদন করতেন না। এতে করে শিক্ষক সংকট নিরসনের পথ সুগম হতো। নিবন্ধিত বেকাররাও শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেতেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি পদ্ধতি চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। ২০১৮ ও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে জারি হওয়া এমপিও নীতিমালায় শিক্ষকদের বদলি পদ্ধতি চালুর কথা বলা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে, দীর্ঘদিন ধরে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে শিক্ষকরাও হাপিয়ে উঠেছেন। বর্তমান করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে বদলি পদ্ধতি চালু না হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষার মানোন্নয়ন। দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সংকট সৃষ্টির মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বদলি পদ্ধতি না থাকা।

বরগুনার আমতলী উপজেলার একটি মাদরাসার শিক্ষক আলআমিন। তিনি সম্প্রতি একটি স্কুলে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন। তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেছেন, নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদান করায় তার পদটি শূন্য থাকছে। কিন্তু স্কুলের গণিত শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নে তিনি যোগদান করছেন। বদলি পদ্ধতি চালু হলে আবেদন করতেন না বলেও জানান তিনি। বলেন, বদলি পদ্ধতি চালু থাকলে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে না। তাই শিক্ষক পদটিও শূন্য থাকতো না। 

এবিষয়ে কথা বলতে দৈনিক আমাদের বার্তার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে। তারা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এমপিও নীতিমালা অনুসারে তারা নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদন গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রণালয়ের নীতিমালায় ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ দেয়ায় তারা আবেদন নিয়েছেন। তবে, ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ দেয়ায় শিক্ষক সংকট যে কাটছে না তা অনুধাবন করছেন তারা। তারা বলছেন, বদলি পদ্ধতি চালু না হওয়ায় এ জটিলতা হচ্ছে। বিধি-বিধান পরিবর্তন করা না হলে এ জটিলতা কাটবে না। 

কিছুদিন আগে এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগের নীতিমালার মত সংশোধিত নতুন নীতিমালায় ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। নীতিমালা সংশোধনের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রণালয়ের এক সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা অনেকেই জাতীয় মেধাতালিকা অনুসারে দূরের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাদের বদলি প্রথাও নেই। তারা যাতে বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে মেধার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা করে আসতে পারেন তাই এ সুযোগ দেয়া হয়েছে। 

চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি - dainik shiksha পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049300193786621