জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ না করে একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও পূর্ণাঙ্গ মহাপরিকল্পনা প্রণয়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে মিছিলটি নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হল- লাইব্রেরি না ভেঙে নতুন লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের সমন্বয়ে প্রকল্পের তদারকি কমিটি গঠন এবং শিক্ষকদের ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক ভবন ভেঙে বেতনকাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভবন নির্মাণ করা।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, আগে নতুন প্রশাসনিক ভবনটি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। মিথ্যাচার করে ডিপিপিতে (ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যানে) মাত্র একটি প্রশাসনিক ভবনের কথা উল্লেখ করে তৃতীয় প্রশাসনিক ভবনের জন্য ১৩৭ কোটি টাকা অপচয়ের পাঁয়তারা ভালো হবে না। কারও কথা না শুনে বিশ্ববিদ্যালয়কে ইট আর কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের মতামতের প্রাধান্য দিন। লাইব্রেরি ভবন করেন, কিন্তু যে ভবনের আরও ২৫ বছর মেয়াদ আছে সেটি ভেঙে নয়।
ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহারের পরিকল্পনা না করে অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় কখনো দুর্নীতি মেনে নেয়নি, আর নিবেও না।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, প্রকল্প নিয়ে আমাদের জুজুর ভয় দেখাবেন না যে, টাকা চলে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকট আছে। এগুলো সমাধান না করে নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ বিলাসিতা। দেশের মঙ্গল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলের জন্য আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
চলচ্চিত্র আন্দোলনের সহ-সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে বলেন, আমাদের বুকের গণজাগরণের স্ফুলিঙ্গ এখনো নিভে যায়নি। উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিতে চাই যে, বিশ্ববিদ্যালয় আরেকজন ফারজানা ইসলাম চায় না।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলির সঞ্চালনায় বক্তারা দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।