তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনীসহ তার ৭ মার্চের ভাষণ এবং 'মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ' বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজন। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নেপথ্য মদদদাতাদের খুঁজে বের করতে জাতীয় কমিশন গঠনেরও দাবি জানানো হয়েছে।
তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ- একটি আরেকটির পরিপূরক। পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন মুক্তিযুদ্ধের চর্চা করে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের কথা, বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে হবে। তার আদর্শ ধারণ করতে হবে। এ জন্য পাঠ্যপুস্তকে বাধ্যতামূলকভাবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলদেশ নামে একটি কোর্স চালু করা উচিত।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে বিশিষ্টজন এসব কথা বলেন। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এর আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ক্ষণজন্মা মহান নেতা। তার জন্ম না হলে বাংলাদেশ হয়তো কোনোদিনও স্বাধীন হতো না।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার। সংগঠনের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কেএম সফিউল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, সাবেক আইজিপি মো. নূরুল আলম, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত কামাল উদ্দিন, নাট্যব্যক্তিত্ব লায়লা হাসান, শাহজাহান মৃধা বেনু, বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব হারুন হাবীব।
অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, আমরা এখনও চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়েছি ভাবার কারণ নেই, কারণ এখনও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি তৎপর রয়েছে। মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সালের সময়ের দিকে তাকালে
দেখা যায়, অন্যান্য সিনিয়র নেতা পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক সময় আপস করলেও শেখ মুজিবই একমাত্র নেতা, যিনি বাঙালির স্বার্থের প্রশ্নে একটিবারের জন্যও আপস করেননি।
সংগঠনের মহাসচিব হারুন হাবীব সেমিনারে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনীসহ তার ৭ মার্চের ভাষণ এবং 'মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ' বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের মদদদাতাদের খুঁজতে জাতীয় কমিশন গঠনসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তৃতায় মেজর জেনারেল (অব.) কেএম সফিউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের এতই আন্দোলিত করেছিল যে কারণে আমরা চুপ থাকতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের কারণে আমি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থেকেই বিদ্রোহ করেছিলাম।