মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি করতে রাজি না হওয়ায় এক শিক্ষককে হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজার বিরুদ্ধে। মাগুরার সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নে সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম শাহাদৎ হোসেন। তিনি সদর উপজেলার ছোটজোকা আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক। তিনি জানান, মাদরাসাটির পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত সপ্তাহে তিনিসহ চার শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে। এখন স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার অনুযায়ী সভাপতি নির্বাচনের অপেক্ষা। এ অবস্থায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা সোমবার রাতে সভাপতি হিসাবে সমর্থন চেয়ে একটি আবেদনপত্রে তার স্বাক্ষর দাবি করেন। কিন্তু শাহাদৎ হোসেন স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তার হেলমেট খুলে একের পর এক আঘাত করেন। একই সঙ্গে চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা অন্যরাও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত ভেঙে দেন। এ ঘটনার পর রাতে তিনি মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হন।
শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন আরও জানান, হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় বুধবার সকালে চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনী পাঠিয়ে এ বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ না করতে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়। পরে নিজের নিরপত্তার কথা ভেবে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে দেন এবং পুলিশে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে বেরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা বলেন, ওই শিক্ষক সম্পর্কে আমার ভগ্নিপতি। কিন্তু তার চরিত্র ভালো নয়। পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে তার আত্মীয় হোসেন মোল্যার বাড়িতে আমাদের বৈঠক ছিল। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হলে সে পড়ে গিয়ে আঘাত পেতে পারে। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে তার সমর্থন দাবির বিষয়টি সত্য নয়।
এ বিষয়ে শত্রুজিতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কাশেম বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।