কুড়িগ্রামের উলিপুরের সন্তোষ অভিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পের এক লাখ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছেন।
আমজাদ হোসেন উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের সন্তোষ অভিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হওয়ায় তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান। আর দায়িত্ব পেয়েই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িয়ে পড়েন।
আমজাদ হোসেন ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্লিপ প্রকল্পের ৫০ হাজার, প্রাক্-প্রাথমিকের ১০ হাজার ও দুর্যোগকালে মালপত্র কেনার পাঁচ হাজার টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের স্লিপের ৫০ হাজার টাকার কাজ না করেই পুরো অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাছাড়া করোনায় দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশে স্কুল খোলার পর আমজাদ হোসেন স্কুলে না গিয়েই কৌশলে ১২ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। সংশ্নিষ্ট সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ফারুক স্কুল পরিদর্শনে গেলে বিষয়টি তার নজরে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর বিধিবহির্ভূতভাবে হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষরসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের এক লাখ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আমজাদ হোসেনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাদিরুজ্জামান বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে চাকরিবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।