ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিসিএস, ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ ছাত্রসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে পলাতক ২৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক সোমবার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।আসামিপক্ষের আইনজীবী আশরাফ-উল-আলম জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে ১২৬ জন জড়িত। মামলায় পলাতক ২৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। তিনি বলেন, ৪৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুন নামে দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা করেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২৩ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় একটি এবং ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৯(খ) ধারায় আরেকটি চার্জশিট দাখিল করেন।
জানা যায়, অভিযোগপত্রে ১২৬ জনের মধ্যে ৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অন্যরা রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মালিক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।