প্রসঙ্গ জাতিসংঘ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা - দৈনিকশিক্ষা

প্রসঙ্গ জাতিসংঘ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা

মো. আরাফাত রহমান |

বিশ্বে উত্তেজনা হ্রাস, জাতিগত দ্বন্দ্বের অবসান, যুদ্ধ বন্ধ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টিতে জাতিসংঘের ভূমিকা আলোচিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘের এ ভূমিকার পাশাপাশি যোগ হয়েছে পরিবেশগত সমস্যা কিংবা নারী উন্নয়ন সম্পর্কিত  সমস্যাবলী। জাতিসংঘ দিবস ২৪ অক্টোবর বিশ্বের সকল স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে উদযাপিত হয়। সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতিসংঘ সনদ অনুমোদনের দিনে এ দিবস পালনের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিলো।

জাতিসংঘ একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়ক  শহরে  এর সদর দপ্তর অবস্থিত। জাতিসংঘের ধারণা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জাতিসংঘের জন্ম হলেও মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর গঠিত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ব্যর্থতাকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব নেতারা  এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। শান্তিপ্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও মৈত্রী বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তাও অনুভূত হয়। এই প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখেই তৎকালীন বিশ্ব নেতারা একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থা গঠন করার উদ্যোগ নেন।

১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আটলান্টিক চার্টার সনদে স্বাক্ষর করেন। এ সনদে বিশ্বের সকল জাতির আত্ম নিয়ন্ত্রণ অধিকার, বাকস্বাধীনতা, স্থায়ী শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে আক্রমণকারীদের নিরস্ত্রীকরণের কথা বলা হয়েছিলো। এসব আদর্শের ওপর ভিত্তি করেই পরে জাতিসংঘ সনদ রচিত হয়। তবে জাতিসংঘ নামটি এসেছে ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন যে ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেছিলো, সেই ঘোষণাপত্রের মধ্যে দিয়ে। এ চারটি দেশ এক ঘোষণাপত্রে আটলান্টিক চার্টারে বর্ণিত নীতি ও আদর্শের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেছিলেন যা ‘জাতিসংঘ ঘোষণা’ নামে পরিচিত।

১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে তেহরানে বিশ্ব রাজনীতির তিন শীর্ষ নেতা, রুজভেল্ট, স্ট্যালিন ও চার্চিল অপর এক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানান যে, একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থায় যোগদানের জন্য বিশ্বের সকল ছোট ও বড় দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সম্মেলনে একটি বিশ্বসংস্থা গঠন ও এর কাঠামো সম্পর্কে প্রস্তাব গৃহীত হয়। নিরাপত্তা পরিষদ গঠনে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যের প্রস্তাব করা হয়। বলা হয় পাঁচটি দেশ স্থায়ী সদস্য ও ছয়টি দেশ অস্থায়ী সদস্য পদ পাবে। স্থায়ী সদস্যদের ভেটোর অধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে ভেটো দানের পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ঐকমত্য হয়নি।

১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়াল্টায় একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দেন রুজভেল্ট, স্ট্যালিন ও চার্চিল। ওই সম্মেলনে বৃহৎ পাঁচটি শক্তি যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন, চীন ও ফ্রান্সকে ভেটো ক্ষমতা দেয়া হয়। ইয়াল্টা শীর্ষ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি সনদ রচনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা মিলিত হন। ২৬ জুন ১১১টি ধারা সংবলিত  সনদটি অনুমোদিত হয় এবং তাতে বৃহৎ পঞ্চ শক্তির ভেটো ক্ষমতা স্বীকার করে নেয়া হয়। তবে সর্বসম্মতভাবে সনদটি স্বাক্ষরিত হয় ২৪ অক্টোবর। মোট ৫১টি দেশ মূল সনদে স্বাক্ষর করেছিলো সে সময়।

এ কারণে, প্রতি বছর ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। এভাবেই দীর্ঘ চার বছরের পরিকল্পনা ও বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাড়ানোর প্রয়োজনে জাতিসংঘ আত্মপ্রকাশ করে। জাতিসংঘ সনদ গৃহীত হবার পর ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি লন্ডনের ওয়েষ্ট মিনিষ্টারের সেন্ট্রাল হলে প্রথমবারের মতো সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বসে। জাতিসংঘ সনদ গৃহীত হবার পর এ পর্যন্ত সনদের চারটি ধারা সংশোধন করা হয়েছে। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ ১১ থেকে বাড়িয়ে ১৫ করা হয়েছে। এবং বিভিন্ন পদ্ধতিগত ও অন্যান্য সকল বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের হ্যাঁ সূচক ভোটের সংখ্যা ৭ থেকে বাড়িয়ে ৯ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মূল সনদে ৫১টি দেশ স্বাক্ষর করলেও বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা তিনগুণের ওপরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিশ্বসংস্থার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। মূলত দু’টি বিশ্বযুদ্ধের কারণে সমগ্র মানব জাতির জীবনে যে অবর্ণর্নীয় দুঃখ-দুর্দশার সৃষ্টি হয়েছিলো, তার ভয়াবহতা অনুধাবন করেই বিশ্বনেতারা জাতিসংঘের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। বিশ্ব নেতাদের কাছে যেসব বিষয় তখন প্রাধান্য পেয়েছিলো তা হলো, যেকোনো ধরনের যুদ্ধকে নিরুৎসাহিত করা, ছোট ছোট দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আগ্রাসী দেশগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, একটি নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করা, আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতার ব্যাপারে দেশগুলোকে ধারণা দেয়া এবং ছোট ছোট দেশগুলোর প্রগতি ও উন্নয়ন সাধনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা ইত্যাদি।

বিশ্বনেতারা এসব লক্ষ্যকে সামনে রেখেই জাতিসংঘের সনদ রচনা করেন। জাতিসংঘ সনদে বলা হয়েছে এসব লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে প্রতিটি রাষ্ট্র সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করবে। প্রতিটি রাষ্ট্র সৎ প্রতিবেশী সুলভ আচরণ করবে এবং শান্তিতে বসবাস করবে। অর্থাৎ কোনো রাষ্ট্র আগ্রাসী ভূমিকা নেবে না ও সম মর্যাদার ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর  সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবে। সনদে বলা হয়েছে আর্ন্তজাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য সকল রাষ্ট্রের শক্তি ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। অর্থাৎ আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ছোট ছোট রাষ্ট্রের নিরাপত্তা একটি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই নিশ্চিত করা সম্ভব। এই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই বিশ্বশান্তির অন্যতম রক্ষাকবচ। জাতিসংঘ সনদে সশস্ত্রবাহিনী ব্যবহারকেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া সশস্ত্রবাহিনীকে ব্যবহার না করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ যাতে একটি রাষ্ট্রের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে, জাতিসংঘের সনদে এই বিষয়টিরও উল্লেখ আছে। জাতিসংঘ প্রতিটি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার স্বীকার করে এবং সমতার ভিত্তিতে প্রতিটি রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার নীতিতে বিশ্বাসী। জাতিসংঘ কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু যদি ওই রাষ্ট্র বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দেয়, তাহলে ওই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় হস্তক্ষেপকে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।

আপাত দৃষ্টিতে জাতিসংঘের সাফল্য বেশি বলে মনে হলেও, জাতিসংঘ প্রতিটি ক্ষেত্রে যে সফল হয়েছে, তা বলা যাবে না। বেশ কিছু ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ব্যর্থতাও লক্ষ্য করার মত। বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠা জাতিসংঘের অন্যতম উদ্দেশ্য। অথচ দেখা গেল বিভিন্ন দেশের মধ্যে যেসব যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো, বিশেষ করে ইরান-ইরাক যুদ্ধ, চীন-ভিয়েতনাম যুদ্ধ, আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসন, ভিয়েতনাম কর্তৃক কম্পুচিয়া আগ্রাসন কিংবা কিউবার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক চাপ এসব প্রতিরোধ করতে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুইটি বৃহৎ শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে আন্তপ্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে যে স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম হয়েছিলো সেই স্নায়ুযুদ্ধ রোধ করা কিংবা উত্তেজনা হ্রাস করার ব্যাপারে জাতিসংঘ কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।  ইসরায়েলের আগ্রাসনও ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ্

পারস্পরিক অস্ত্র উৎপাদন হ্রাস করা ও পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা কমিয়ে আনার ব্যাপারেও জাতিসংঘের ব্যর্থতা লক্ষ্য করার মতো। জাতিগত বৈষম্য বিলোপ সংক্রান্ত জাতিসংঘ ঘোষণা গৃহীত হলেও, বিগত বছরগুলোতে ধনী ও গরিব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যবধান আরো বেড়েছে। গরিব দেশগুলোর ঋণের পরিমাণ দিনে দিনে বাড়লেও জাতিসংঘ দ্বন্দ্বের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে আফ্রিকায় রুয়ান্ডা-বুরুন্ডিতে কিংবা ইউরোপে বসনিয়া হার্জেগোভিনা ও কসভোতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও লক্ষ লক্ষ মানুষের দেশান্তরিত হওয়ার রোধ করার ব্যাপারে জাতিসংঘ আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এমনকি জাতিসংঘ এসব দেশে গণহত্যার সাথে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে সোপর্দ করতে পারেনি। প্যালেস্টাইনের উপর ইসরাইলের নগ্ন আগ্রাসনের ব্যাপারে জাতিসংঘ অদ্যাবাধি কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।

গণবিধ্বংসী অস্ত্রগোপন রাখার অভিযোগে ইরাকের উপর বুশ সরকারের অন্যায় আক্রমণের প্রশ্নেও জাতিসংঘ কোনো কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের ব্যাপারে বড় অভিযোগ এই সংস্থাটি মূলত বড় দেশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করে। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী প্রক্রিয়ায় উন্নয়নশীল বিশ্বের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। এই দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা ২০০ কোটির বেশি। অথচ এই বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলোর ক্ষমতা জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থায় একদম নেই। অর্থ্যাৎ জাতিসংঘের মূল ক্ষমতা নিরাপত্তা পরিষদের হাতে।

প্রতিটি সংস্থারই সাফল্য যেমনি রয়েছে, তেমনি রয়েছে ব্যর্থতা। জাতিসংঘের ক্ষেত্রেও এই কথাটা প্রযোজ্য। জাতিসংঘের সাফল্য যেমনি রয়েছে, তেমনি রয়েছে এর ব্যর্থতাও। তবে তুলনামূলক বিচারে জাতিসংঘের সাফল্য বেশি। বিশেষ করে শান্তিরক্ষা, পরিবেশ কার্যক্রম, কিংবা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হয়ে জাতিসংঘ উন্নয়নশীল বিশ্বের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে জাতিগত দ্বন্দ্বের অবসানের উদ্যোগ নিয়েছে জতিসংঘ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে বৃহৎ শক্তিগুলোর একটি ভূমিকা ও কর্তৃত্ব করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আর তাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামোগত সংস্কার এখন সময়ের দাবি।

লেখক: কলামিস্ট

 

রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0070760250091553