প্রসঙ্গ মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস চক্র - দৈনিকশিক্ষা

প্রসঙ্গ মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস চক্র

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দেশে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে গুরুত্বপূর্ণ সব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে মেডিকেল ও ডেন্টাল মেডিকেল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁস। এক শ্রেণির অভিভাবক যেকোনো উপায়ে সন্তানদের মেডিকেল কলেজে পড়াতে চান। তাঁরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র কিনে সন্তানদের হাতে তুলে দেন। রোববার (২৩ আগস্ট) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়। 

সম্পাদকীয়তে আরও জানা যায়, সন্তানকে চিকিৎসক বানাতে তাঁরা আরো অনেক অবৈধ উপায় অবলম্বন করেন। এভাবে দেশজুড়ে ছড়াচ্ছে মানহীন চিকিৎসকের সংখ্যা। দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর মানুষ ক্রমেই আস্থা হারাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যশিক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আর সে জন্য প্রশ্ন ফাঁস রোধ করাসহ এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান অনিয়মগুলো কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

প্রকাশিত খবরাখবর থেকে জানা যায়, সিআইডির অনুসন্ধানে প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের দেড় শতাধিক সদস্যকে শনাক্ত করা গেছে। এদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ছয়জন এরই মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসকারী এই চক্রের সঙ্গে প্রেসের কর্মী, তাঁদের আত্মীয়, মেডিকেলের শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসকদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া গেছে, যাঁরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে এমবিবিএস পাস করা জেড এম এ সালেহীন শোভন প্রশ্ন ফাঁসের অন্যতম হোতা। এদিকে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের প্রধান জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে মুন্নুর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জসিমের খালাতো ভাই ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রেসের কর্মী আব্দুস সালাম, চিকিৎসক সালেহীন শোভনসহ পলাতক অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। সূত্র জানায়, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে র‌্যাবের হাতে জসিম ও শোভন গ্রেপ্তার হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে তাঁরা আবার একই অপরাধ করে আসছিলেন।

২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সে সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করে। অথচ এখন গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টিও উঠে এসেছে। শুধু অস্বীকার করা নয়, বরং সমস্যাকে স্বীকার করেই তা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। মানসম্পন্ন চিকিৎসক তৈরির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035710334777832